চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাইওয়ানি নেতা ছাই ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্রে ‘ট্রানজিট’ এবং সেদেশে তাঁর কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র চীনের কঠোর প্রতিবাদ ও সতর্কতা উপেক্ষা করে, ছাই ইং ওয়েনকে ‘ট্রানজিট’ করার অনুমতি দেয় এবং স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি ছাই-এর সঙ্গে হাই-প্রোফাইল বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও কংগ্রেসসদস্যরাও ছাই-এর সাথে দেখা করেন, যা তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থনের সামিল, গুরুতরভাবে ‘এক-চীননীতি’ও ‘চীন-মার্কিন তিনটি যৌথ ইস্তাহার-এর লঙ্ঘন, এবং চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতার প্রতি চ্যালেঞ্জস্বরূপ। চীন এর দৃঢ় বিরোধিতা ও তীব্র নিন্দা জানায়।
চীনা মুখপাত্র বলেন, দীর্ঘকাল ধরে যুক্তরাষ্ট্র শুধু তাইওয়ানের সঙ্গে বেসরকারি সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে আসছে, তা নয়, বরং তাইওয়ানের কাছে অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি করছে ও সামরিক যোগাযোগ বজায় রাখছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর ছাই ইং ওয়েন “১৯৯২ ঐকমত্য” অস্বীকার করেন এবং বিভিন্ন নামে তাইওয়ানকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে, তাইওয়ান প্রণালীর দু’তীরের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মুখপাত্র বলেন, তাইওয়ান চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যু এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের প্রথম রেডলাইন, যা অতিক্রম করা যাবে না। চীন আবারও যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এক-চীননীতি’ এবং ‘চীন-মার্কিন তিনটি যৌথ ইস্তাহার’ মেনে চলতে আহ্বান জানায় এবং অবিলম্বে তাইওয়ানের সাথে সরকারি পর্যায়ের সবধরনের যোগাযোগ বন্ধের তাগিদ দেয়। - সূত্র: সিএমজি