ন্যাভিগেশন মেনু

‘চীনে মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থার সুবিন্যাস বিজ্ঞানসম্মত ও প্রয়োজনীয়’


কিছু পশ্চিমা তথ্য মাধ্যম অভিযোগ করেছে যে, চীনের মহামারি প্রতিরোধ-নীতির সুবিন্যাসের অর্থ চীনের মহামারি প্রতিরোধের চিন্তাধারার পরিবর্তন ঘটেছে; চীন আর জনগণের প্রাণের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে না। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে চীনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।

মুখপাত্র বলেন, এ মন্তব্য একদম অবাস্তব। মহামারি ঘটার পর চীন জনগণ ও তাদের জীবন রক্ষাকে শীর্ষস্থানে রাখে, প্রাণের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। তিন বছরে চীন কার্যকরভাবে বিশ্বের পাঁচ দফা মহামারির ঢেউপ্রতিরোধ করেছে, ব্যাপক গুরুতর রোগী ও প্রাণহানি কমিয়েছে। সেই সঙ্গে টিকা ও ওষুধ গবেষণা এবং চিকিৎসার সম্পদ প্রস্তুত করার জন্য সময় বের করেছে। চীনে মহামারি সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা বিশ্বের সবচেয়ে কম। মাথাপিছু আয়ু ৭৭.৩ বছর থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮.২ বছরে। 

ওয়াং ওয়েন বিন বলেন, চীন সবসময় মহামারি প্রতিরোধ এবং অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সমন্বয় করেছে, সময়মত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সুবিন্যাস করেছে। ওমিক্রনের সংক্রমণ দুর্বল হওয়া এবং চীনে চিকিৎসা, পরীক্ষা ও টিকাদান কাজ জোরদার করে চীন করোনাভাইরাসকে ‘বি’ শ্রেণীর রোগ হিসেবে নির্ধারণ করেছে। সংক্রমণ প্রতিরোধ থেকে স্বাস্থ্য রক্ষা এবং গুরুতর রোগী এড়ানোর কিছু বিষয় সমন্বয় করেছে।যা মহামারি প্রতিরোধ এবং অর্থনীতি ও সমাজ উন্নয়নকে সমন্বয় করে ব্যাপক জনগণের মৌলিক স্বার্থ রক্ষার একটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। 

মুখপাত্র আরো বলেন, তিন বছরে চীনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন হচ্ছে; তবে, জনগণ এবং প্রাণের গুরুত্ব শীর্ষস্থানে রাখার নীতির কোনো পরিবর্তন হয় নি। - সূত্র: সিএমজি