ন্যাভিগেশন মেনু

‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের’ আইনানুগ শাস্তি দেবে চীন


চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির তাইওয়ান-বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, আইন অনুযায়ী ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের’ শাস্তি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীরা’ হল মাতৃভূমির একত্রীকরণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা এবং চীনের জাতীয় পুনরুজ্জীবনে একটি গুরুতর সম্ভাব্য বিপদ। গুটি কয়েক ‘স্বাধীনতাকামী’ বেপরোয়াভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে, বহিরাগত চীন-বিরোধী শক্তির দোসর হিসেবে কাজ করছে। তারা ‘দুই-চীন’, ‘এক-চীন’, ‘এক-তাইওয়ান’ এবং ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’র জিগির তুলছে। তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজ ও মন্তব্য চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং চীনের আইনি পবিত্রতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট উসকানি। 

“তারা তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং প্রণালীর দু’তীরের স্বদেশবাসীদের অভিন্ন স্বার্থ এবং চীনা জাতির মৌলিক স্বার্থকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ ধরনের কাজ ও মন্তব্যের জন্য তাদের আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেয়া উচিত।”

তিনি বলেন, চীনের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, তাইওয়ান গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের পবিত্র ভূখণ্ডের একটি অংশ। চীনের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখণ্ডতা অবিচ্ছেদ্য। দেশটির সার্বভৌমত্ব, একত্রীকরণ এবং ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা তাইওয়ানের বাসিন্দাসহ সমস্ত চীনা জনগণের পবিত্র দায়িত্ব। যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে বা জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। ফৌজদারি আইনের অধীনে, যারা দেশকে বিভক্ত করার বা দেশের ঐক্যকে ক্ষুণ্ণ করার পরিকল্পনা করে এবং চক্রান্ত করে, তারা দোষী সাব্যস্ত হবে এবং বিচ্ছিন্নতার জন্য শাস্তি পাবে।

তিনি আরও বলেন, যদি কেউ দেশকে বিভক্ত করতে বা দেশের ঐক্যকে নষ্ট করতে অন্যদের উসকানি দেয়, তাহলে তাকে বিচ্ছিন্নতার উসকানি দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে। যে কেউ বিদেশী সংস্থা বা ব্যক্তিদের সাথে যোগসাজশ করে এসব অপরাধগুলি সংঘটিত করলে, তাকে আইন অনুসারে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। (সূত্র: সিএমজি)