ন্যাভিগেশন মেনু

ভার্চুয়াল কর্মশালায় বশেফমুবিপ্রবির উপাচার্য:

‘ফলপ্রসূ গবেষণায় দেশ আরও এগিয়ে যাবে’


বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আজকের ক্রমবর্ধমান এই বৈশ্বিক উন্নয়ন গবেষণার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। তাই নিত্যনতুন গবেষণা ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বকে আরও উন্নত করা সম্ভব। ফলপ্রসূ গবেষণায় সমাজ ও মানুষ উপকৃত হয়। দেশ আরও এগিয়ে যাবে। 

সোমবার (১৩ জুলাই) বশেফমুবিপ্রবির উদ্যোগে আয়োজিত 'ওয়ার্কশপ অন রাইটিং অ্যা রিসার্চ প্রজেক্ট প্রোপোজাল’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। 

উপাচার্য বলেন, বিজ্ঞানের নিত্যনতুন আবিষ্কার কিংবা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন- সবই গবেষণার ফসল। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতেও বিশ্বজুড়ে নানা গবেষণা চলছে। অনেক দেশ কভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সাফল্যের খবর দিচ্ছে। আমাদের দেশেও বিজ্ঞানী ও গবেষকরা কাজ করছেন। 

চলমান এই মহামারি প্রতিরোধের জন্য শিক্ষক ও গবেষকদের কার্যকর গবেষণা করার মাধ্যমে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি। 

অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা জ্ঞান তৈরি করে তা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেন। এর একমাত্র ও কার্যকর মাধ্যম হচ্ছে গবেষণা। সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন নতুন গবেষণার বিষয় আমাদের সামনে আসে। ফলপ্রসু গবেষণার মাধ্যমে সমাজ এগিয়ে যায়, মানুষ উপকৃত হয় এবং দেশও উন্নতির দিকে ধাবিত হবে। 

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার রূপরেখা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমাদেরও নিজ নিজ জায়গা থেকে সঠিক কাজটি করে যেতে হবে। তবেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। 

বশেফমুবিপ্রবি-কে একটি আন্তর্জাতিকমানের গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার কথার পুনর্ব্যক্ত করে এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ড. সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের প্রাণের এই প্রতিষ্ঠানকে একটি আন্তর্জাতিকমানের গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের অনুসন্ধিৎসু ও বিচক্ষণ হিসেবে তৈরি হতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খাতে নেতৃত্বে দেবেন, ইনশাল্লাহ। 

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব খন্দকার হামিদুর রহমান। আর কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সায়েদুর রহমান এবং সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল খালেক। চার দিনব্যাপী কর্মশালায় কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বশেফমুবিপ্রবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার ভট্টচার্য্য। আর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক জনাব হুমায়ুন কবির।  

সোমবার শুরু হওয়া এ কর্মশালা ১৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত চলবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত, ব্যবস্থাপনা, সমাজকর্ম, ফিশারিজ বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যানবৃন্দসহ সকল শিক্ষকবৃন্দ অংশ নিচ্ছেন।

এডিবি/