ন্যাভিগেশন মেনু

‘বিএনপি ঘরে বসে কৃষক, শ্রমিক আর সাংবাদিকদের জন্য মায়াকান্না দেখায়’


সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ভাঙ্গা রেকর্ড জনগণ গত তেরো বছর শুনে আসছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ঘরে বসে বিএনপি কৃষক, শ্রমিক আর সাংবাদিকদের জন্য মায়াকান্না দেখায়।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান।

কৃষক নাকি উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পায় না,বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু যা করেছেন সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ কৃষিবান্ধব সরকার হিসেবে শেখ হাসিনা উৎপাদন, পণ্যমূল্য,পণ্য বাজারজাতকরণ, উপকরণ সরবরাহ, ঋণ ও প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে দেশে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী

বিএনপির শাসনামলে উৎপাদনের জন্য সার চেয়ে পায়নি কৃষকরা, বরং কৃষকদের বুকে গুলি চালিয়েছিল বিএনপি এসব স্মরণ করিয়ে দিয়ে কাদের বলেন, কৃষকরা পায়নি প্রয়োজনীয় সাপোর্ট, ভর্তুকি, অথচ আজ বিএনপি নেতারা কৃষকদের জন্য মেকি দরদ দেখাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) নানা ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের পর টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুত এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্যের জন্য এই বিশ্ব স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এই অনন্য অর্জন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পূর্ণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাক্স ‘জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন অব দ্য ডে’ হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি জানান, ‘অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাক্স বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি চলাকালে ও এসডিজি অর্জনে শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার জন্য তার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।’

ওবায়দুল কাদের বিশ্ব পর্যায়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগসহ দেশের সব মানুষের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো আছে বলেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা ভালো নেই। এজন্যই বিএনপি মহাসচিব কাল্পনিক অভিযোগ করে বলছেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। আসলে দেশের মানুষ করোনার অভিঘাত মোকাবিলা করে ভালো আছে বলেই বিএনপি নেতাদের কষ্ট হচ্ছে।’

ক্ষমতার মোহে অন্ধ, মিথ্যাচার আর বিষোদগারকে যারা রোজনামচায় পরিণত করেছে, তারা মানুষের ভালো থাকা পছন্দ করবে না এটাই স্বাভাবিক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতিবাচক রাজনীতিক মানসিকতার কারণে বিএনপিই নিজেদের ভালো থাকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনার অভিঘাত মোকাবিলা করে জীবন এখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে শুরু করেছে, অন্যদিকে বিএনপি গৃহকোণে বসে নসিহত করছে। তাদের এমন আচরণ একদিকে মানুষের এগিয়ে চলার উদ্যমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে অপরদিকে নিজেদের হতাশাকে জাতির সামনে স্পষ্ট করছে।’

ওআ/