‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার-২-এ স্থানান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে পুলিশি পাহারায় রফিকুলকে গাজীপুর কারাগার থেকে বের করা হয়। এরপর সাড়ে ১২টার দিকে তারা কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়।
গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশীদ আকন্দ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নেত্রকোণার পূর্বধলার লেডির কান্দার নিজ বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে র্যাব-১৪-এর একটি দল আটক করে।
রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোণা থেকে আটকের পর তার বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাব।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) ইলতুৎ মিশ জানান, ‘গত ১০ ফেব্রুয়ারি মহানগরের বোর্ড বাজারের কলমেশ্বর এলাকায় একটি কারখানা চত্বরে ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বুধবার রাত সোয়া দুইটার দিকে গাছা থানায় মামলা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৮/৩১ ধারায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারায় আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ ইত্যাদি অপরাধের বর্ণনা ও শাস্তির কথা রয়েছে।
এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে গাছা থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আবদুল্লাই ইবনে সাঈকে। তবে মামলাটি নিজেরা তদন্তের জন্য র্যাবের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম।
গাজীপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরিফুল ইসলামের আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে তোলা হলে শুনানি শেষে বিচারক রফিকুলকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর দুপুরে তাকে জেলা কারাগারে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ২৫ মার্চ মতিঝিল এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের সময় রফিকুলকে আটক করেছিল রমনা থানার পুলিশ। সেখানে তিনি মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন, আর এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেবেন না।
ওআ/