ন্যাভিগেশন মেনু

ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী


অযথা সীমান্ত সমস্যা তৈরি করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এ নিয়ে খোদ নেপালবাসী চরম ক্ষুব্ধ হন।   

চিনের আস্কারায় অলি লিপুলেখ নিয়ে অযথা উত্তেজনা তৈরি করেন ভারতের সঙ্গে। কিন্তু নয়া দিল্লির কঠোর অবস্থান ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চাপে শেষ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন কেপি শর্মা ওলি।

প্রধানমন্ত্রী ওলির সুপারিশ মেনে গত রবিবার নেপালের জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। ঘোষণা করেন পরবর্তী নির্বাচনের দিনও।

একতরফাভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া নিয়ে রীতিমতো অসস্তুষ্ট ওলির দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। ওলি মনে করেন, তার দলে এখন অন্তর্কলহ চরমে উঠেছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও আনা সম্ভব হবে না।

পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়াকে ‘সাংবিধানিক আঘাত’ হিসেবে দেখছেন ওলির বিরোধীরা। নেপাল প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।

পরিস্থিতি অনুকূল নয় অনুধাবন করে সোমবার ওলি জানিয়েছেন, দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। নিজের ক্যাবিনেটের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান ওলি।

উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ থেকে মানস সরোবর পর্যন্ত কয়েকমাস আগে একটি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করে ভারত। এরপরই সমস্যা তৈরি করে নেপাল। লিপুলেখ ও কালাপানিসহ তিনটি ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করে বিতর্কিত একটি মানচিত্র বানিয়ে ফেলে।

এমনকী এর জন্য দেশের সংবিধানে সংশোধন করে কাঠমাণ্ডু। এই টানাপোড়েনের সময়ই নেপালের এই আচরণ অন্য কারও ইশারায় বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান নারাভানে। 

এস এস