ন্যাভিগেশন মেনু

পদ্মা সেতু নিয়ে শুধু দেশীয় নয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও হয়েছিল: তথ্যমন্ত্রী


পদ্মা সেতু নিয়ে শুধু দেশীয় ষড়যন্ত্র নয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করার পর থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সেই ষড়যন্ত্রের শুরুতেই বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনা হয়েছিল। নির্বিচারে সেখানে সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল। সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর ক্রমাগতভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। খালেদা জিয়া ঘোষণা করেছিলেন- একদিনও শান্তিতে থাকতে দেব না। এরপর থেকে সরকারকে টেনে নামানোর জন্য গত পৌনে ১২ বছর ধরে চেষ্টা করেছে তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছিলেন। সেই সেতু নিয়ে শুধু দেশীয় ষড়যন্ত্র নয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছিল।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে আবার নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ ভূখণ্ডে শত শত বছর ধরে ভাস্কর্য রয়েছে। আমাদের দেশে মুঘল আমল থেকে ভাস্কর্য রয়েছে। স্বাধীনতার পর দেশের বহু জায়গায় অনেকে কৃতি ব্যক্তিদের ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে। ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক রাজনৈতিক নেতারাও ভাস্কর্যও স্থাপিত হয়েছে। তখন কোনও কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে হঠাৎ করে কথা হচ্ছে। এটি সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই ভূখণ্ডে শত শত বছর ধরে ভাস্কর্য রয়েছে। বলা যায় সেই মুঘল আমল থেকে। স্বাধীনতার পরে বহু রাজনৈতিক নেতার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করা হচ্ছে? আমরা কয়েকজন ধর্ম ব্যবসায়ীর কাছে ইসলাম ধর্মকে লিজ দেইনি।’

‘সৌদি আরবে ভাস্কর্য জাদুঘর রয়েছে। সে দেশের সড়কে সড়কে অনেক ভাস্কর্য। সেই দেশের মক্কা-মদিনার গ্রান্ড মুফতিরা কখনো ভাস্কর্য নিয়ে কিছু বলেননি। আমাদের দেশের কয়েকজন কি গ্রান্ড মুফতিদের চেয়েও বেশি বোঝেন। আসলে তারা ধর্ম ব্যবসায়ী। ’

তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে। শাপলা চত্বরে মাদরাসা ছাত্রদের এনে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, বায়তুল মোকাররমে কোরআন শরিফে আগুন দেওয়া হয়েছে। যাদের নেতৃত্বে মাদরাসা ছাত্রদের এনে এই তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তারা এর দায় এড়াতে পারেন না। তারাই এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশটি হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার। এখানে ধর্মীয় বিষবাস্প ছড়ানো সম্পূর্ণ সংবিধানের লঙ্ঘন। এদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে। আমি সবাইকে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর অনুরোধ করছি।’

ওআ/