ন্যাভিগেশন মেনু

কৃষির আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী


ক্রমাগত বাড়তি ফসল উৎপাদনের তাগিদে মাটির ওপর চাপ বাড়ায় দেশের কৃষির আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পুনরায় কৃষির উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করে। ফলে আধুনিক কৃষিতে যোগ হয়েছে উচ্চফলনশীল জাতের ফসল, যা অত্যন্ত কার্যকরী। ফসল চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, খাদ্যোৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুন। ক্রমাগত বাড়তি ফসল উৎপাদনের তাগিদে মাটির ওপর চাপ বাড়ছে। আমরা এ দেশের কৃষির আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণের ওপর জোর দিচ্ছি।’

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদিত কৃষি পণ্যের গুণাগুণ বজায় রাখতে হবে। মাটির স্বাস্থ্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিবিড়। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশের কৃষি এখন খোরপোশ কৃষি থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। 

তিনি বলেছেন, আমরা কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছি, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে। এমনকি মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের কৃষি নিরবচ্ছিন্নভাবে এ দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য জোগানের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই, মাটির জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে এর উর্বরতা বজায় রাখা দেশের ভবিষ্যৎ কৃষি উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এদিন ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাটিকে সজীব রাখুন, মাটির জীববৈচিত্র্য রক্ষা করুন’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২০’-এ গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

শেখ হাসিনা বলেছেন, কৃষির আধুনিকায়নের ফলে কৃষি উপকরণ হিসেবে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের সার ও বালাইনাশকের ব্যবহার। এসডিজি বাস্তবায়নে এরই মধ্যে কৃষি সেক্টরে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন উচ্চমূল্যমানের ফসল। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বাড়ছে ফসল নিবিড়তা। এসব কৃষি প্রযুক্তি যাতে মাটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

এডিবি/