ন্যাভিগেশন মেনু

আফগানিস্তানের মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এখন নৈতিকতা মন্ত্রণালয়


আফগানিস্তানের নতুন শাসক গোষ্ঠী তালেবান সে দেশের মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়টি বন্ধ করে নৈতিকতা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় চালু করেছে। এই মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ কঠোর ধর্মীয় অনুশাসন প্রয়োগ করা।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিবিসি জানায়, গতকাল শুক্রবার নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাইনবোর্ড নামিয়ে সেখানে নৈতিকতা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মন্ত্রণালয়ের নারী কর্মচারীরা অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে তালেবান সদস্যদের অনুরোধ করছেন তাদের কাজে যোগদানের সুযোগ দিতে।

১৯৯০-এর দশকে আফগানিস্তানে তালেবানের গঠিত নৈতিকতা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় কঠোরভাবে ইসলামী আইন প্রয়োগ করেছিল এবং নারীদের ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।

গত ২০ বছরে আফগান নারীরা তাদের বেশ কিছু মৌলিক অধিকার নিয়ে লড়াই করেছিল এবং তা অর্জনও করেছিল। কিন্তু এখন তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা, যাতে একজনও নারীও নেই। এটি নারীদের আগের অর্জনকে উল্টে দেবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আফগানিস্তানের মানবাধিকার সংগঠনগুলো অতীতে নৈতিকতা মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে বলেছিলেন, এটিকে ভিন্নমত দমনের কাজে ব্যবহার করা হয়, এবং জনগণ, বিশেষভাবে নারী ও মেয়ে শিশুদের ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ বলপূর্বক প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে আতঙ্ক এবং অবিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু তালেবান বলছে নৈতিকতা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়টি গঠন করা খুবই প্রয়োজন। তালেবান সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ নিউইয়র্ক পোস্টকে জানান, 'এর প্রধান কাজ হলো ইসলামের সেবা', 'সেজন্যই সদগুণ ও নৈতিকতার মন্ত্রণালয় স্থাপন জরুরি।'

কাবুলে এর অফিসের সামনে যে নতুন সাইনবোর্ড তোলা হয়েছে, সেই অনুযায়ি এই মন্ত্রণালয়ের পুরো নাম হচ্ছে সদগুনের প্রসার এবং অনৈতিকতা প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়। সূত্র: বিবিসি

এডিবি/