ন্যাভিগেশন মেনু

এমডি পদ থেকে আব্দুল বারী পদত্যাগ করেছেন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে: ন্যাশনাল ব্যাংক

গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ দুর্ভাগ্যজনক


ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারীর পদত্যাগকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন যে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে তাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যায়িত করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক।

রোববার ইস্যু করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ন্যাশনাল ব্যাংক বলেছে, শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারী সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। এতে বলা হয়, “তার পদত্যাগে পরিচালনা পর্ষদের কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ তো দূরের কথা বরং জনাব বারীকে এমডি নিয়োগ করার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শর্ত শিথিল করে নিয়োগের জন্য পরিচালনা পর্ষদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করা হয়।” 

কোনো ব্যক্তি শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ পেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী তিনি কোনো ব্যাংকের এমডি হওয়ার যোগ্য হবেন না। সেই শর্ত অনুযায়ী জনাব বারী এমডি হওয়ার জন্য উপযুক্ত নন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেহেতু ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডির মেয়াদ শেষে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের প্রয়োজন হয়, সেহেতু ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪৪৫তম সভায় জনাব বারীকে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রস্তাব পাঠালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা অনুমোদন করে।

এতে আরো বলা হয়, জনাব বারী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ব্যাংকের এডিআর অনুপাত উন্নয়ন ও ব্যাংক ব্যাবস্থাপনা গতিশীল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বার বার তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। “জনাব বারী এই চাপ নিতে পারছিলেন না বলে একাধিকবার মৌখিকভাবে দক্ষ একজন এমডি এবং ব্যাংকের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়োগের দাবী জানিয়ে আসছিলেন। ব্যাংকের শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যান জনাব মনোয়ারা সিকদার আগামী এজিএম পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলেন।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শাহ্ সৈয়দ আব্দুল বারী পদত্যাগ করেন, অথচ প্রথম আলো, বণিক বার্তা, সমকালসহ বেশ কয়েকটি দৈনিক ও অনলাইন কাগজ এ ব্যাপারে ভিত্তিহীন খবর পরিবেশন করেছে।

ন্যাশনাল ব্যাংক দেশের প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক; সারাদেশের লাখ লাখ আমানতকারীর আস্থার প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংক গত অর্থবছরেও সেরা করদাতা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে ন্যাশনাল ব্যাংক আশা প্রকাশ করেছে, কেউ ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা এই প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করবেন না। দেশে-বিদেশে এই ব্যাংকের দুই শতাধিক শাখায় হাজার হাজার কর্মী রয়েছেন – একথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব কর্মীর জীবিকা এবং আমানতকারীদের বিনিয়োগে ঝুঁকি সৃষ্টি হয় এমন সংবাদ পরিবেশন করা থেকে সকলের বিরত থাকা উচিৎ।

এতে বলা হয়, “সত্য সংবাদ পরিবেশনে আমরা সবসময় গণমাধ্যমকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”