ন্যাভিগেশন মেনু

কর্ণফুলী রক্ষায় ব্যতিক্রমী সাম্পান শোভাযাত্রা

কর্ণফুলী রক্ষার সামাজিক আন্দোলন ব্যর্থ হলে পুরো জাতি ব্যর্থ হবে: সিএমপি কমিশনার


চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, আমরা নানা আন্দোলনের কথা জানি অনেক আন্দোলন সফল হয় আবার কোন আন্দোলন ব্যর্থ হয়। কিন্তু কর্ণফুলী রক্ষার সামাজিক আন্দোলনে হারলে চলবে না, এটি দেশের পরিবেশ অর্থনীতির ধ্বংস ডেকে আনবে। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে কর্ণফুলী ও সাম্পান মাঝিদের রক্ষার এই সামাজিক আন্দোলনের সাম্পান শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

কর্ণফুলী রক্ষায় চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন এ শোভাযাত্রা হয়। এতে অংশ নেয় ইছানগর সদরঘাট, চরপাথরঘাটা অভয়মিত্রঘাট, সদরঘাট ও ব্রিজঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির তিন শতাধিক সাম্পান।

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে ব্যতিক্রমী সাম্পান শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন শতাধিক সাম্পান মাঝি, সাম্পান নিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। কর্ণফুলীর দুইপাড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি আন্দোলনকারীদের।


সিএমপি কমিশনার বলেন, কর্ণফুলী ও চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিবেশ রক্ষার এই সামাজিক আন্দোলন ব্যর্থ হলে পুরো জাতি ব্যর্থ হবে। সেই সাথে আমরা আমাদের আগামি প্রজন্মের ধ্বংস ডেকে আনবো। সেই পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করতে দেব না। তাদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে কর্ণফুলী নদীকে রক্ষা করতে হবে। আন্দোলনে আমরা সক্রিয়ভাবে জড়িত আছি। কারো ভয় ভিতিতে পিছিয়ে আসার কোন কারণ নাই। 
 
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ছোট বেল থেকে একটি স্বচ্ছ সুন্দর কর্ণফুলী নদী দেখে আমি বড় হয়েছি। দেশ উন্নত হচ্ছে কিন্তু মানুষের পরিবেশ বিধ্বংসী আচরণে কর্ণফুলী ধ্বংস হচ্ছে। যা হতে দেয়া যাবে না। তিনি সকলকে একত্রিত হয়ে কর্ণফুলী  রক্ষার সামাজিক আন্দোলনে শক্তিশালী করার আহবান জানান। 
 
চৌধুরী ফরিদ বলেন, সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ আছে । অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত আছে। কিন্তু উচ্ছেদ হচ্ছে না। বন্দরের কালোহাত অবৈধ দখলকারী, নদী খেকোদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে। যা মেনে নেয়া যায় না। তিনি ২০১৪ সালের স্ট্যাটেজিক মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষার দাবী জানান। 

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলীর সভাপতিত্বে আবৃত্তি শিল্পী দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথি ছিলেন  ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান। 

এসমউ বক্তব্য রাখেন ডায়মন্ড সিমেন্ট জেনারেল ম্যানাজার সেলস আলহাজ্ব আবদুর রহিম, সাম্পান খেলার আয়োজক সমাজ সেবক সৈয়দ আহমেদ, সেলিমুল হক, কামাল আহমেদ রাজা, ডায়মন্ড সিমেন্টের প্রমোশন ম্যানেজার শায়ের আমান, ক্যাব চট্টগ্রামের কর্মকর্তা জানে আলম, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির ফেডারেশণের সহ সভাপতি জাফর আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান দয়াল, আবুল হোসেন আবুল, বসির আহমেদ প্রমুখ।