ন্যাভিগেশন মেনু

কুমিল্লার ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা: তথ্যমন্ত্রী


কুমিল্লার ঘটনায় যারা ইন্ধন দিয়েছে, তারাই ইকবালকে কক্সবাজার পাঠিয়েছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটনা ঘটিয়ে আবার বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

কুমিল্লার ঘটনায় সরকারকে দোষারোপ করে এবং কক্সবাজারে ইকবালের গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথম থেকেই মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যের ধরণ হচ্ছে, 'ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না' এবং মনে হচ্ছে তিনিই ভালো বলতে পারবেন ইকবালকে কারা কক্সবাজারে পাঠিয়েছে। যারা এ ঘটনায় ইন্ধন দিয়েছে, তারাই ইকবালকে কক্সবাজার পাঠিয়েছে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঘটনা ঘটিয়ে আবার বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে।

একইসাথে স্বল্পতম সময়ে পীরগঞ্জে পোড়া ঘরগুলো মেরামত, নতুন ঘর নির্মাণ এবং সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ এবং খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়ে ড. হাছান এসময় তার আইপ্যাড থেকে পীরগঞ্জে নতুন নির্মিত ঘর ও মানুষের রান্নাবান্নাসহ গৃহকর্মের চিত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার কঠোর ও দ্রুততম ব্যবস্থা নিয়েছে। এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, একশ'র বেশি মামলা হয়েছে, কয়েকশ' জন গ্রেপ্তার হয়েছে এবং পূজামণ্ডপে যে কোরআন শরীফ রেখে এসেছিল তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে বাকি তথ্য বেরিয়ে আসবে।

মন্ত্রী বলেন, সরকার যখন দ্রুততম সময়ে সকল ব্যবস্থা নিয়েছে, তখন বিএনপি-জামায়াতসহ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যারা ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এবিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও কোথাও কোথাও রাস্তা অবরোধের খবর পাওয়া গেছে এবিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও আমাদের চেতনার বেদিমূলে আঘাত, আমরাও এর প্রতিবাদ জানাই ও প্রতিকারে সচেষ্ট। কিন্তু প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে জনগণ যেন ভোগান্তির শিকার না হয় এবং আবেগতাড়িত হলেও যেন কারো বক্তব্য বাস্তবতাবিবর্জিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।