ন্যাভিগেশন মেনু

২০১৪ সালে পরাজয়ের জন্য সোনিয়া-মনমোহন দায়ী: লিখে গেছেন প্রণব


২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজিবির কাছে হারের পর থেকে ভারতে লাগাতার শক্তিক্ষয় হয়ে চলেছে কংগ্রেসের। ২০২০ সালে– ৬ বছর পরও চিত্রটা এতটুকু বদলায়নি। সদ্য সমাপ্ত বিহার নির্বাচনেও খারাপ ফল হয়েছে দলের। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেই হারের জন্য দায়ী করেছেন বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতা।

এবার আগামী বছর জানুয়ারিতে প্রকাশিত হতে চলা প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বই ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ার্স’–এও এই বিষয়টিরই উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গেছে, বইটিতে ২০১৪ সালের নির্বাচন হারের জন্য সরাসরি সোনিয়া গান্ধী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকেই  দায়ী করেছেন প্রণব। শুধু তাই নয়, তার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরই যে দলের পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, সেকথাও লিখেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম পাঁচ বছরের কাজের নিরিখে নরেন্দ্র মোদিকে ‘একনায়ক’ হিসেবেই ব্যাখা করেছেন তিনি।

শুক্রবার ছিল প্রয়াত রাষ্ট্রপতির ৮৫তম জন্মদিন। আর সেদিনই সামনে এলো ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ার্স’–এ লেখা প্রণব মুখার্জির এই বক্তব্য। বইয়ে তিনি লেখেন, ‘তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরেই কংগ্রেস দিকভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। 

সে সময় সোনিয়া গান্ধীও দলের রাশ নিজের হাতে রাখতে পারেননি। এর সঙ্গেই তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে হারের প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘কংগ্রেসের কিছু নেতা আমাকে বলেছিলেন যে, ২০০৪ সালে আমি প্রধানমন্ত্রী হলে ২০১৪ সালে কংগ্রেসকে এমন পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হত না। যদিও আমি এটা বিশ্বাস করি না। তবে আমার মনে হয়, আমি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সোনিয়া গান্ধী দল সামলাতে সক্ষম হননি। অন্যদিকে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং সংসদে না থাকায় দলের সাংসদদের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। যার জন্যই এই ফলাফল হয়েছে।’

বইটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনমোহন সিং এবং নরেন্দ্র মোদির প্রথম ইনিংসের কাজের পর্যালোচনাও করেছেন তিনি। মনমোহন সিং প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তার মনমোহন সিং জোটকে বাঁচাতেই বেশি সময় ব্যয় করেছিলেন, যা প্রশাসনের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলেছিল।’ 

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম পাঁচ বছরের কাজের নিরিখে নরেন্দ্র মোদিকে ‘একনায়ক’ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। এখন দেখার বিষয় আগামী জানুয়ারিতে বইটি প্রকাশের পর আর ও কী কী বিষয় সামনে আসে। 

এস এস