ন্যাভিগেশন মেনু

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ


মাতৃত্ব প্রত্যেকটি নারীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। গর্ভধারণের প্রথম সময়টায় মহিলাদের শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্ত অনেক সময় মহিলারা প্রথমাবস্থায় বুঝতে পারে না যে সে সন্তানসম্ভবা কি না? বিশেষকরে যারা প্রথমবার গর্ভবতী হন তারা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলি সচারচর অনুভব করতে পারে না।

তাই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ নির্ধারন সমস্যাটি অধিকাংশ মহিলাদের মধ্যেই দেখা যায়। তবে চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই। আজ আমরা জানবো গর্ভধারণের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে।

আসুন জেনে নেয়া যাক গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ কি কি-

প্রেগন্যান্সি স্ট্রিপ

আপনি গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওষুধের দোকানগুলোতেই প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার স্ট্রিপ পাওয়া যায়। তা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এর নিয়মাবলি প্যাকেটের গায়ে স্পষ্টভাবে  লেখা থাকে।

মাথা ঘোরা, বমি

সাধারণত আমরা নানি-দাদিদের মুখে শুনে আসছি যে, নারীরা গর্ভবতী হওয়ার পর সকালে ঘুম থেকে উঠলে প্রচণ্ড দুর্বল, মাথা ঘোরা ও বিষণ্ন লাগে।এটি গর্ভবতী হওয়ার অন্যতম লক্ষণ।এ ছাড়া হজমে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

পিরিয়ড

নারীদের প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পিরিয়ড হয়ে থাকে (সাধারণত ২৮ দিন পর পর)। যদি তা না হয়, তবে বুঝে নিতে হবে আপনি গর্ভবতী।

রক্তপাত

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পিরিয়ডের সময় খুব সামান্য পরিমাণ রক্তপাত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এটি হতে পারে গর্ভধারণের লক্ষণ।

স্তনের পরিবর্তন

গর্ভধারণের আরেকটি লক্ষণ হল- স্তনের পরিবর্তন। আপনি যদি গর্ভধারণ করেন, তা হলে স্তনের আকৃতি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে ও নিপল গাঢ় রঙ ধারণ করবে।

ক্লান্তি বা অবসাদ

ক্লান্তি গর্ভাবস্থায় যেকোন সময়ে দেখা দিলেও প্রথম দিকে সেটা বেশি কমন। যেহেতু প্রোজেস্টেরন (progesterone) হরমোনের মাত্রা শরীরে অনেক বেশি থাকে কাজেই ক্লান্তি বা অবসাদও বেশি দেখা যায়। পর্যাপ্ত ঘুম ও খাদ্যাভাসে এর থেকে  মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ করা

প্রেগন্যান্সিতে হৃৎপিণ্ড শরীরে বেশি রক্ত পাম্প (pamp) করে। যার ফলে কিডনীর বেশি তরল ছাঁকতে হয় এবং মূত্রথলিতে সেই অতিরিক্ত তরল এসে জমা হয়। তাই ঘনঘন মূত্র ত্যাগের বেগ আসে এবং অস্বস্তি দেখা দেয়। এক্ষেত্রেও হরমোন প্রভাব বিস্তার করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ৩০০ মি.লি পানি গ্রহণে মত প্রকাশ করেছেন।

পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য

পিরিয়ডের লক্ষণের মতো পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও প্রেগন্যান্সির শুরুতে দেখা দেয়। হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে পরিপাকতন্ত্রের কার্যকলাপ কিছুটা শিথিল হয়ে যায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দেখা দেয় এবং পেট ফাঁপা অনুভূত হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, আঁশ জাতীয় শাকসবজি ও ফল খেলে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়।

শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকা

শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকাও প্রেগন্যান্সির শুরুর দিকের একটি লক্ষণ। আবহাওয়া ও ব্যায়াম করলে এই তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। এ সময় বেশি করে পানি পান করতে হবে এবং সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত।

খাদ্যের আকাঙ্ক্ষা, গন্ধের প্রতি বিতৃষ্ণা এবং সংবেদনশীলতা

গর্ভাবস্থার হরমোনগুলি আপনার প্রিয় খাবারগুলি আকাঙ্ক্ষা করার ক্ষেত্রে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে এবং এটি কিছু গন্ধের প্রতি বিতৃষ্ণা জাগাতে পারে। গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া, স্বাদ কটু লাগা এবং খাদ্যের প্রতি বিতৃষ্ণা জাগা গর্ভধারণের পর প্রাথমিক সপ্তাহগুলিতে ঘটে এবং সম্পূর্ণ গর্ভাবস্থায ধরে চলতে পারে বা নাও চলতে পারে। কিছু হবু মায়েদের এমনকি পিরিয়ড মিস করার আগে ক্ষুধা হারিয়ে যায়।