ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুুই গ্রুপে মারামারি, আহত ৯


চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে কলেজের কাঁঠালতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।  
ঘটনায় আহতরা হলেন, কলেজের ইংরেজি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জাবের বিন জাফর, ডিগ্রি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন ছাবের, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষ রিয়াজ উদ্দীন, অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল মাজেদ ফয়সাল, ডিগ্রি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহিবি তাজোয়ার, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এরফান আলম, ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের জনি, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের মিজান ও ইশতিয়াক।

চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির জানায়, কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির কাগজপত্র জমা দিতে শিক্ষার্থীদের খামের দরকার হয়। সেখানে ২০ টাকার সেই খাম ১০০ টাকায় শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন সুভাষ মল্লিক ও তাঁর অনুসারীরা। এসবের প্রতিবাদ করায় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে তাঁরা মারধর করেছেন।

বেশি দামে খাম বিক্রির কারণ জানতে চাওয়ায় দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক জানায়, কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম কিছুদিন ক্যাম্পাসে নেই। এমন সময় হঠাৎ মনিরুল ইসলাম মনির নামের একজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করছে। কিন্তু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি আমাকে বা মহানগর কমিটি এই ধরনের কোনো নির্দেশনা দেয়নি। যেহেতু কলেজে তাদের সাথে রাজনীতি করা সম্ভব না। সেজন্য সবসময় কলেজে এসে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।

চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সারওয়ার আজম বলেন, কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলেছিল। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
জানা গেছে, কিছুদিন ধরে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। 

মাহমুদুল করিমের পক্ষের বেশিরভাগ নেতাকর্মী এখন সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে সামনে রেখে রাজনীতি করছে। তবে বিষয়টি সহজে মানতে পারেননি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। তিনি মনিরকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে আগ্রহী না। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য ধরে রাখা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারামারি সৃষ্টি হয়।