ন্যাভিগেশন মেনু

পরশের নেতৃত্বে ইতিবাচক ধারায় শেখ মনির যুবলীগ


তানভীর সোহেল

এমনই একটি সঙ্কটের সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ ফজলে শামস পরশ যখন নানামুখী কারণে যুবলীগ আলোচিত-সমালোচিত এবং খেই হারানোর পথে। চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের চাবি তুলে দেন শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশের হাতে। নেতৃত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর দেশের অন্যতম বৃহৎ এই সংগঠনটির উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে বহুমুখী সংস্কার কাজ শুরু করেন তিনি। এক প্রকার খাদের কিনারা থেকে কাজ শুরু করে ক্রমেই আস্থা অর্জনের মধ্য দিয়ে এখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে শেখ ফজলুল হক মনির রেখে যাওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। করোনাভাইরাস মহামরীতে মানুষের পাশে থাকা, নেতৃত্বে গুণগত পরিবর্তন ও ভাস্কর্য ইস্যুতে কঠোর অবস্থান জানান দেয়ার মাধ্যমে অতীতের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ফেরার পথে যাত্রা শুরু করেছেন যুবলীগ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ ফজলে শামস পরশের আপোষহীন এই নেতৃত্ব অব্যাহত থাকলে ক্রমেই যুবকদের আস্থা ও ভরসার প্রতীক হয়ে উঠবে সংগঠনটি। 

দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর আগ্রাসন শুরু হলে জরুরী বৈঠক করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা আসে যুবলীগের হাই কমান্ড থেকে। গরিব-দুঃখী মানুষের দুয়ারে ত্রাণসামগ্রী, নগদ অর্থ, স্বাস্থ্য সামগ্রী, মেডিসিন সেবা, অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিয়ে হাজির হয়েছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। আর এই সব কার্জকর্মের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছেন যুবলীগের বর্তমান সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ। মহামারীতে মহান কাজের মধ্য দিয়ে যুবলীগ সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশসা কুঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকলে যুবলীগ ক্রমেই মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে যুবলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আসেন শেখ ফজলে শামস পরশ ও মাইনুল হোসেন খান নিখিল। চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েই সংগঠনকে ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে কর্মীবান্ধব নানান উদ্যেগের পাশাপশি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে যুবকদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। সম্মেলনের এক বছরের মাথায় এসে ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে আওয়ামীলীগের সহযোগী এই সংগঠনটি। যুবলীগের অতীতের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ ছিলো পদ বাণিজ্য ও ত্যাগী-যোগ্যদের মূল্যায়ন না করা। শেখ ফজলে শামস পরশ নেতৃত্বে এসে সংগঠনটিকে এই অভিযোগ থেকে মুক্ত করায় মনোনিবেশ করেন। বর্তমান ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে যোগ্য ও ত্যাগী এমন একঝাঁক মেধাবীদের সমন্বয়ে সংগঠনকে ঢেলে সাজান তিনি। সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা করে দেয়া হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক মেধাবীদের। পদায়নে একপ্রকার চমক এসেছে যুবলীগে। পদ পেয়েছেন, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা। এছাড়াও আছেন মেধাবী ও ক্লিন ইমেজের জয়দেব নন্দী, শামসুল কবির রাহাত, আবদুর রহমান জীবন, আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া প্রমুখ। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে যেন নবজীবন ফিরে পেতে শুরু করেছে সংগঠনটি। কার্যক্রমে নানান মাত্রায় বৈচিত্র্যের পাশাপাশি গতিরও সঞ্চার ঘটেছে শেখ ফজলে শামস পরশের ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বের গুণে।

সম্প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধীতা করে আসছেন স্বাধীনতা বিরোধী ও  মৌলবাদী একটি গোষ্ঠী। দেশ বিরোধী এই অপশক্তিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে এক হাত দেখে নেয়ারও ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। দেশের যেকোন প্রয়োজনে যুবলীগ রাজপথে থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে লড়াই করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে মৌলবাদ যেন আস্ফালন দেখাতে না পারে সেজন্য যুবলীগের নেতৃবৃন্দকে সজাগ ও নজরদারি করার নির্দেশ প্রদাণ করা হয়। নতুন নেতৃত্বে ভর করে সংগঠনে যেমন দায়িত্বশীলতা বেড়েছে তেমনি সংগঠনটির কাছে যুবসমাজের প্রত্যাশাও বেড়েছে।

অতীতের বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে যুবলীগকে আলোচনা-সমালোচনার কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে সংগঠনের সাবেক শীর্ষ নেতারা। ফলে মানুষের মধ্যে যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে তা ক্রমেই ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর বর্তমান নেতৃত্ব। দারিদ্র দূরীকরণ, যুবকদের ঐক্যবদ্ধ করা, যুবসমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং যুব শক্তিকে দেশ গঠনের কাজে লাগানোর মহান লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনির প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে অতীতের সকল সমালোচনা বাতলে দিয়ে ফজলুল হক মনির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে যুবসমাজের আস্থা ও ভরসার প্রতীক হয়ে উঠায় দিকে ক্রমশ অগ্রসর হয়ে উঠতে শুরু করেছে যুবলীগ।     

> প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন সেটাই আমাদের লক্ষ্য: তাপস

ওআ/