ন্যাভিগেশন মেনু

চাটমোহরে চাষ হচ্ছে সুস্বাদু গাছ আলু


কন্দাল জাতীয় সবজি ফসল গাছ আলু। মাটির নীচে এ সবজির কন্দ বেড়ে ওঠে। বাণিজ্যিকভাবে এ সবজির চাষাবাদ খুব একটা দেখা না গেলেও পাবনা জেলার চাটমোহরে কিছু বাড়ির পাশে, আঙিনার বেড়ায়, বিভিন্ন ধরণের বনজ ও ফলদ গাছে, মাচায়, পরিত্যক্ত স্থানে এ সবজির লতানো গাছ চোখে পরে।

লতা জাতীয় এ গাছে গোল আলু সদৃশ্য এক ধরণের আলু ধরে। একবীজপত্রী লতানো এ উদ্ভিদের মাটির নিচের কন্দ এবং উপরের আলু দুটোই ভর্তা, মাছ ও মাংসের সাথে রান্না করে খাওয়া যায়।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এই প্রথম চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ২ হেক্টর জমিতে গাছ আলু চাষ হয়েছে। গাছ আলু চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনটি প্রদর্শনী ও স্থাপন করা হয়েছে চাটমোহরে।

উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক তার বাড়ির পাশের একটি জমিতে খরিপ-১/২০২১ মৌসুমে একটি প্রদর্শনী প্লটে স্থানীয় জাতের গাছ আলু চাষ করেছেন। গত ২৬ মার্চ প্রদর্শনীটি স্থাপন করা হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রদর্শনীটি বাস্তবায়ন করছে।

গাছ আলু চাষী আব্দুল কুদ্দুস জানান, এবারই প্রথম বাড়ির পাশের ৭ শতাংশ জায়গায় গাছ আলু চাষ করেছেন তিনি। লতাগুলো একটি মাচায় তুলে দিয়েছেন। মাচা ছাড়াও পাশের বিভিন্ন রকমের গাছে বেয়ে উঠেছে গাছ আলুর অসংখ্য লতা। ইতোমধ্যে লতাগুলোতে আলু ধরতে শুরু করেছে। সুস্বাদু এ আলু ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

প্রদর্শনীটি বাস্তবায়নে কৃষি অফিস বিভিন্ন রকমের সার এবং নগদ ৫ হাজার টাকা দিয়ে সহায়তা করেছে বলেও জানান তিনি।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, হালকা দোআঁশ মাটি গাছ আলু চাষের জন্য বেশি উপযোগী। এটি সহজেই যে কোনও গাছে উঠে যায়। এতে গাছের তেমন ক্ষতি হয় না। তবে ফলদ গাছে এই আলুর লতা তুলে না দেওয়াই ভালো। এ সবজি ফসলটি খুব বেশি জায়গা দখল করে না। রোগ বালাই প্রায় নেই বললেই চলে।

তিনি বলেন, শীতকালে এই আলুর গাছ মরে যায়। কন্দ থেকে পরের বছর আবারও লতা বের হয়। পাবনা এলাকার মানুষ গাছ আলু খেতে খুব একটা অভ্যস্ত নয়। তবে এ সবজীর আবাদ বাড়লে তা সবজির চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।

আইকেআর/এডিবি/