ন্যাভিগেশন মেনু

চামড়া, বস্ত্র ও ওষুধ খাতে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী ইরাক


চামড়া, বস্ত্র ও ওষুধ খাতের উন্নয়নে ইরাক বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে ইরাকের শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী খালিদ বটল নাজিম বুধবার (৩১ মে)
এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ইরাকের শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী বন্ধু প্রতীম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাথে ইরাকের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বলেন ‘আমরা চামড়া, বস্ত্র ও ওষুধ খাতে একযোগে কাজ করতে চাই’।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ইরাকের পরিকল্পনা উপমন্ত্রী আহমেদ আব্দুল জব্বার আলী আল করিম, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, ঢাকাস্থ ইরাক দূতাবাসের চার্জ দ্যা এফেয়ার্স এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এ বৈঠকে ইরাকের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে ইরাক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে উদার বৈদেশিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিদ্যমান। সরকারের পক্ষ থেকে কর অবকাশ সুবিধা, বিভিন্ন খাতে হ্রাসকৃত কর, রফতানি প্রণোদনা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। ইরাকের বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। একইভাবে বাংলাদেশে উৎপাদিত গার্মেন্টস্ পণ্য, পাটজাতপণ্য, চামড়াজাত দ্রব্যাদি এবং ওষুধ আমদানি করে ইরাক লাভবান হতে পারে।

এছাড়াও বৈঠকে ইরাকে বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের বৈধকরণ এবং বাংলাদেশ থেকে আরো জনশক্তি নেয়ার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

উল্লেখ্য, ইরাকের শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ৪ দিনের সফরে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ মে) বাংলাদেশে পৌঁছান। তিনি আগামী ২ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থানকালে সাভারের ট্যানারী পল্লী, টঙ্গীতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানাসহ বেশ কিছু স্থাপনা পরিদর্শন করবেন।