ন্যাভিগেশন মেনু

জাতিসংঘে মহীসোপান নিয়ে ভারতের দাবির আপত্তি জানিয়ে বাংলাদেশের চিঠি


বঙ্গোপসাগরের কন্টিনেন্টাল শেলফ বা মহীসোপানে ভারতের কিছু দাবির ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে জাতিসংঘে একটি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। 

গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে জাতিসংঘে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে ওই চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের দাবির উপর আপত্তি জানিয়ে নিজেদের কিছু দাবিসম্বলিত একটি চিঠি জাতিসংঘে দিয়েছিল ভারত।

গত এপ্রিলে জাতিসংঘের মহীসোপান নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনে (সিএলসিএস) ভারত দাবি করেছিল যে, বাংলাদেশ যেই মহীসোপান নিজেদের বলে দাবি করছে, তা ভারতের মহীসোপানের অংশ।

সে সময়ই বাংলাদেশ জানিয়েছিল, ভারতের ওই আপত্তির কোনও আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিষয়ে কমিশনের সামনে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরার কথাও জানায় বাংলাদেশ।

চিঠিতে বাংলাদেশ বলেছে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালত রায় দেয়। সেই রায় অনুযায়ি সমুদ্রে মহীসোপানের দাবি নির্ধারণ করে বাংলাদেশ।

সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলোর সমুদ্রের দিকে পানির নিচে যে ভূখণ্ড ধীরে ধীরে ঢালু হয়ে নেমে যায়, তাকে ভূগোলের ভাষায় বলা হয়ে থাকে মহীসোপান। এটিকে উপকূলীয় ওই দেশের বর্ধিতাংশ বলে ধরা হয়।

১৯৫৮ সালের কনভেনশন অনুযায়ি, সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলোর স্থলভাগের বেসলাইন থেকে লম্বালম্বিভাবে সমুদ্রের ২০০ মাইল পর্যন্ত এলাকার মালিকানা সম্পূর্ণ ওই দেশের। একে বলা হয় এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক অঞ্চল (ইইজেড) বা একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, যেখানে সমুদ্রের পানি ও তলদেশের ওপর ওই দেশের একছত্র অধিকার থাকে। সেখানকার সমুদ্রে অন্য কোন দেশ মাছ ধরতে পারে না।

এরপর থেকে দেড়শ মাইল পর্যন্ত সীমার সমুদ্র তলদেশের খনিজ সম্পদের মালিক হবে ওই দেশ, তবে পানিতে থাকা মাছ ধরতে পারে অন্য দেশও। এই পুরো সাড়ে তিনশো মাইলকে ওই দেশের মহীসোপান বলা হয়। সূত্র: বিবিসি

এডিবি/