ন্যাভিগেশন মেনু

টিকিটবিহীন কোন যাত্রী ষ্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না : রেলমন্ত্রী


রেলপথ মন্ত্রী মো: নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, স্টেশনগুলোতে আমরা এক্সেস কন্ট্রোল করেছি কাজেই টিকেটবিহীন কোন যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না।

মন্ত্রী আজ ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। এ সময় আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করার জন্য এবং গ্রামের বাড়িতে ঈদ কাটানোর উদ্দেশ্যে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা শহর থেকে গ্রামে আসা-যাওয়া করে। পরিবহনের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে রেলওয়ে। ঈদের সময় যাত্রীদের আসা-যাওয়ার প্রচন্ড চাপ তৈরি হয়। এই চাপ সামলানোর জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে থাকি এবং বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকি। আমাদের সে পরিকল্পনা একমাস আগেই মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি।’

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় এবং রেলের পক্ষ থেকে যে অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি নেয়া দরকার সেটা নিয়ে থাকি। এবছর রেলওয়ের সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা হল ঈদের ৫ দিন আগে ও ঈদের ৫ দিন পরে এই দশ দিন আন্তঃনগর ট্রেন সমূহের টিকেট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ঈদ যাত্রার টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে এবং আগামীকাল ১৭ তারিখ থেকে ঈদের ট্রেন চলা শুরু হবে। এই ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এবং সেগুলো যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। যাত্রীদের অধিকতর নিরাপদ যাত্রার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত আমরা বিভিন্ন পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন সমূহের ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবেনা কারণ এসব ট্রেনে বিমানবন্দর থেকে যাত্রীরা সিট দখল করে থাকে।

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময় যাত্রীদের চাপের কারণে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো আমরা এবার সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কমলাপুর, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর স্টেশনে অস্থায়ী বাঁশ এর বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে যাতে যাত্রীরা সারিবদ্ধভাবে টিকেট প্রদর্শন করে ঢুকতে পারে এবং টিকেটবিহীন কোন যাত্রী ঢোকার সুযোগ না পায়।

সিডিউল বিপর্যয় বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগই সিঙ্গেল লাইন কোন একটি ট্রেনের ১০ মিনিট বিলম্ব হলে অনেক ট্রেন বিলম্বের মুখে পড়তে হয়। এছাড়া এখনকার আবহাওয়ার তাপমাত্রা অনেক বেশি তাই গতি কম রাখতে হচ্ছে। কাজেই এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে যাত্রী সাধারণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।

স্টেশন পরিদর্শনের সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন সরদার শাহাদত আলীসহ বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।