ন্যাভিগেশন মেনু

তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হল থেকে ২৫ দফা দিক নির্দেশনা প্রদান সহ  তিন দিনব্যাপী  ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন  করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘’আজকে আমরা যাঁরা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি যতটুকু সুযোগ সুবিধা পাই, আপনারাও সরকারি আমলা হিসেবে যে সুযোগ সুবিধা পান এগুলোর অবদান তো জনগণের। কারণ জনগণের অর্থ, জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়েই তো সব কিছু চলে। জনগণের উন্নয়নের প্রচেষ্টা আমরা চালাচ্ছি’’।

‘’বিভিন্ন খাতে ব্যয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছে সরকার। এখন মূলত মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা, কল্যাণকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। জনগণের অর্থ, জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়েই তো সব কিছু চলে। জনগণের উন্নয়নের প্রচেষ্টা আমরা চালাচ্ছি’’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘‘প্রতিটি গ্রামের মানুষকে আমরা শহরের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যেতে চাই। তাতে শহরমুখী প্রবণতা কমে যাবে, গ্রামে অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পাবে। আমাদের উন্নয়ন শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক বা শহরকেন্দ্রিক হবে না। যে কারণে আমি ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি- আমার গ্রাম, আমার শহর।‘’

এ সময়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ, নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, বান্দরবানের ডিসি ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি বক্তব্য দেন উদ্বোধনী পর্বে।

সরকারের নীতিনির্ধারক এবং জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময়ের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিতে প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ বছর ডিসি সম্মেলনে ২৬টি অধিবেশন হবে। আর কার্য-অধিবেশন হবে ২০টি। সেগুলো হবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। প্রথম দিন মঙ্গলবার ৭টি, বুধবার ৮টি এবং শেষ দিন বৃহস্পতিবার ১০টি অধিবেশন থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে এ বছর সম্মেলনে আলোচনার জন্য ২৪৫টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে; এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে।

এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় নিয়ে ডিসি সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন।

সম্মেলনের প্রথম দিন ডিসিরা তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনা ও ছবি পর্ব শেষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন।

এছারাও শীর্ষ কর্মকর্তা ও ডিসিদের জাতীয় সংসদের স্পিকার ডঃ শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতির হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে ।

সম্মেলনের শেষ অর্থাৎ তৃতীয় দিন বঙ্গবভনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষৎ করে ডিসিরা তার নির্দেশনা গ্রহণ করবেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃমাহবুব হোসেন ।