ন্যাভিগেশন মেনু

দিনাজপুরে বিলুপ্তির পথে সাদা বক


ঝিক মিক দশ দিক নাই পিক পাপিয়া..

সাদা বক চক চক উড়ে যায় ডাকিয়া..

কবিতায় ডেকে ডেকে উড়ে গেলেও দিনাজপুরে বিলুপ্তির পথে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য এই সাদা বক। খাবারের সন্ধানে বিল নদী জলাশয়ে আসা সাদা বকের খুব বেশি দেখা মেলেনা এখন আর। বনভূমি উজার আর অসাধু পাখি শিকারীদের দৌরাত্ম্যে হারিয়ে যেতে বসেছে এই বক।

অথচ আমাদের বাংলা কবিতা ও সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল জায়গা দখল করে আছে বিভিন্ন রকমের বক। কখনও মেঘাচ্ছন্ন আকাশে ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলা, কখনও দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের সবুজ গালিচার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিতো ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা বক। আবার কখনও দলবদ্ধ হয়ে উড়তে উড়তে একসময় মিশে যেতো দূর আকাশ নিলীমায়। এ উড়ে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়। এ বিল থেকে ও বিলে অথবা দিন শেষে কোন বন কিম্বা বাঁশঝাড়ে নিজ নীড়ে ফিরে যেত।

প্রাকৃতিক নান্দনিক পাখি বক, বকের কলরব এখন শুধুই স্মৃতি। আট প্রজাতির সাদা বকের মধ্যে আমাদের দেশে রয়েছে পাঁচ প্রজাতির সাদা বক। আকারে ৪৫ থেকে ১৫০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। পা ও লম্বা ঠোঁট ছাড়া এদের সারা দেহ সাদা পালকে আবৃত। নিষিদ্ধ হলেও অসাধু শিকারীরা গুলি করে বক নিধন করছে আবার কেউ ফাঁদ পেতে আবার কেউ কেউ পোষা বক দিয়ে বুনো বক ধরছে।

সম্প্রতি জেলায় ঘুঘুডাঙ্গা ইউনিয়নের এ ঝাঁক বকের দেখা মেলে। বিলের মাঝে সুবজ ঘাসে ওৎ পেতে আছে পাশের ঝিলে মাছ শিকারের আশায়। এ যেন অবাক করা সৌন্দর্য। বকের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়ে ছবি তুলতে গেলে সাদা পালক ঝাপটে বকগুলো একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছিল। মনে হলো পৃথিবীটা যেন একটু খানিকটা বদলে যাচ্ছে। জলাবায়ু পরিবর্তন আর বনভূমি উজাড়ের কারণে বক যেন আমাদের জনবসতি থেকে অভিমানেই দুরে চলে গেছে।

এএস/সিবি/এডিবি/