ন্যাভিগেশন মেনু

মাটির জীববৈচিত্র্য হ্রাসের ফলে উর্বরতা শক্তিও হ্রাস পাচ্ছে: রাষ্ট্রপতি


বর্তমান সময়ে মাটির জীববৈচিত্র্যতা হ্রাস একটি উদ্বেগের বিষয়, এর ফলে মাটির উর্বরতা শক্তিও হ্রাস পাচ্ছে বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেছেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে নিবিড় চাষাবাদ, অপরিকল্পিতভাবে কৃষি জমি ব্যবহার, শিল্প-কলকারখানার সম্প্রসারণ, নগরায়ণ ইত্যাদি কারণে মাটির জীববৈচিত্র্য দিনদিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আসুন, আমরা সবাই মিলে মাটিকে ভালোবেসে মাটির যত্ন করি, মাটির জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করি। আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট দেশের ক্রমহ্রাসমান ভূমি ও মৃত্তিকা সম্পদের যৌক্তিক ও লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আরো সক্রিয় হবে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২০ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের প্রায় এক-চতুর্থাংশের আবাসস্থল হচ্ছে মাটি। সুস্থ মাটির একটি অপরিহার্য উপাদান হচ্ছে মাটির জীববৈচিত্র্য। বিজ্ঞানের ভাষায় মাটির জীববৈচিত্র্য হলো মাটিতে বসবাসকারী উদ্ভিদ, প্রাণী ও অণুজীবসহ জীবসম্ভার এবং সেগুলোর সমন্বয় গঠিত বাস্তুতন্ত্র। মাটিতে বসবাসকারী অসংখ্য অণুজীব, ছত্রাক, প্রটোজোয়া ইত্যাদি মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

তিনি বলেছেন, উদ্ভিদের জন্ম-বৃদ্ধি এবং মানবকল্যাণে মৃত্তিকার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ বছর বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২০ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মাটিকে সজীব রাখুন, মাটির জীববৈচিত্র্য রক্ষা করুন’-প্রতিপাদ্যটি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী।

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, মৃত্তিকার সঠিক পরিচর্যার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৃত্তিকা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (আইইউএসএস) ২০২০ সালে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন করে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অনুমোদন লাভের পর প্রতি বছর ৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে।

টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ মাটির জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সক্ষম হবে-এ আশাবাদ ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২০’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

এডিবি/