ন্যাভিগেশন মেনু

শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চবি উপাচার্য

'দুর্নীতি রোধে সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শুদ্ধাচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ'


বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক চবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য ‘শুদ্ধাচার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ সোমবার সকালে চবি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ভার্চুয়াল ক্লাশরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্যবৃন্দ। চবি আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ। আইকিউএসি অতিরিক্ত পরিচালক ড. তানজিনা শারমিন নিপুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন চবি একাউন্টিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল কবীর। এতে আইকিউএসি অতিরিক্ত পরিচালক ড. কমল দে ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

দিনব্যাপি কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন কর্মচারী শুদ্ধাচার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

চবি উপাচার্য বলেন, “দুর্নীতি রোধে, সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শুদ্ধাচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষকরে অফিসের নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলা, যথাসময়ে অফিসে আগমন ও প্রস্থান, সময়ের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকা, সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, নীতি-নৈতিকতা, মানবীয় গুণাবলী অর্জন, শিষ্টাচার ও সুন্দর আচরণের মাধ্যমে সেবাপ্রার্থীদের যথাসময়ে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা ইত্যাদি আয়ত্বকরণে এ শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” 

তিনি বলেন, “নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে সর্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কর্তব্য পালনে সচেষ্ট থাকলে এবং সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে দৈনন্দিন কাজ সময়মতো সম্পন্ন করলে সফলতা আসবেই।” তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেক কর্মী তার কাজের মাঝে আনন্দ খুঁজে নিলে যে কোন কঠিন কাজই সহজে বাস্তবায়ন সম্ভব। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের অগ্রযাত্রায় আমাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব ‘ই-নথি’র যুগে প্রবেশ করতে হবে। আমাদের যার যা দায়িত্ব রয়েছে তা সঠিকভাবে সঠিক সময়ে ন্যায়-নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সাথে পরিকল্পনামাফিক সম্পাদন করলেই আমরা অচিরেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বির্নিমাণ করতে সক্ষম হবো।” 

 এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিকতর সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্ন্তজাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার আহবান জানান তিনি।