ন্যাভিগেশন মেনু

দেশে দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


‘দেশে অতি দ্রুত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে দেশে আড়াই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এমপি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেন,আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বললাম, আমরা ৬ কোটি ডোজ টিকা আনতে পারি কিন্তু এই পরিমাণ টাকা লাগবে। প্রধানমন্ত্রী বললেন, টাকা যত লাগুক টিকা নিয়ে আস। আমরা কোভ্যাক্স থেকে ৫ কোটি টিকা পাব। সব মিলিয়ে ১৬ কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন ১২ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীদের করোনা ভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু ভ্যাকসিন আনছি না, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে।

সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অতি দ্রুত দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে আড়াই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দেড় কোটি মানুষকে ডাবল ডোজ দেয়া হয়ে গেছে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আইন প্রণয়নের সময় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের উপস্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রশ্নের উত্তর দেন।তিনি আরও বলেন, চীন থেকে ৬ কোটি ডোজ টিকার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর দেখলাম, এই টিকা আনতে দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা দরকার।

১২ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীদের করোনা ভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষের টিকা দেওয়া এবং পর্যায়ক্রমে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল, জাতীয় পার্টির সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের এই পরিকল্পনার কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ক্রমান্নয়ে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণের ব্যবস্থা নেওয়া, ১২ বছর ও তার বেশি সব ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা।

 মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবন্ধীদের সুবর্ণকার্ডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শ্রমিকদের টিকা দেওয়া হবে।

এস এস