ন্যাভিগেশন মেনু

দেশের ক্ষতির জন্য কাউকে নিয়োগ দিলে জনগন মেনে নিবে না


দেশের ক্ষতি করার জন্য কাউকে নিয়োগ করা হলে দেশবাসী কখনোই তা মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার সর্বোপরি জনগণের ক্ষতি করতে বিএনপি-জামায়াত বিদেশে ৮টি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশে সরকার এ সব অপপ্রচার বন্ধে সত্য তথ্য তুলে ধরে দেশের ভাবমূর্তি ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পিআর ফার্মকে দায়িত্ব দিয়েছে।  

বিএনপি-জামায়াতের লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে আইসিটি এ্যক্টের বিরুদ্ধে প্রচারনা চালানোর জন্য দেড়লাখ ইউএস ডলার ব্যয়ে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিল। এর পর মার্কিন কংগ্রেসে আইসিটি এ্যক্ট বিরোধী প্রচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করে তা বন্ধ করতে ৫০ হাজার ডলার ব্যয়ে আরও একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দেয় জামায়াত। এ ছাড়া একই বিষয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ডলার ব্যয়ে পিস এন্ড জাস্টিজ নামের সংগঠনকে নিয়োগ দেয়।

ড. মোমেন বলেন, ১ লাখ ৫০ ডলার দিয়ে বিএনপি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দেয়। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারনার জন্য আরো একটি লবিস্ট ফার্মের নিয়োগ দেয় বিএনপি। এ সব লবিস্ট ফার্মের মাধ্যমে বিএনপি এ যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশে সহযোগিতা প্রদান বন্ধ করতে আহবান জানায়। সাথে দেশ ও জনগণ বিরোধী প্রচারণা অব্যাহত রাখে।

তিনি জানান, দেশ ও সরকার বিরোধী অসত্য প্রচারনার বিপরীতে সত্য তুলে ধরতে সরকার যুক্তরাষ্ট্রে পিআর ফার্মের নিয়োগ দিয়েছে। এর আগে বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন দেশ বিরোধী অপপ্রচারের বিপরীতে সত্য তথ্য তুলে ধরতে ২০১৪-১৫ সময়ে আরেকটি ফার্মের নিয়োগ দেয় সরকার।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত জনগণের অর্থ দিয়ে দেশের স্বার্থ বিরোধী অপপ্রচার চালানোর এসব লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে। এর জন্য এসব দলের লজ্জিত হওয়া উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ ধরনের জনস্বার্থ বিরোধী কার্যক্রম সমর্থন করে না নিশ্চয়ই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ বৈধ। সরকার বা রাজনৈতিক দল নয়  ব্যবসয়ি গ্রুপ বা সংহঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়ে থাকে। এগুলো অনেকদিন ধরে আছে। এগুলো নতুন নয়। এরশাদের সময় থেকে এগুলো প্রচলিত আছে। ফলে এটা দোষের নয়, দোষ হলো এর মাধ্যমে দেশ জনগণ সরকার বিরোধী প্রচারণার মাধ্যমে ষড়যন্ত্র চালানো।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলেকে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি এ প্রেক্ষিতি উল্লেখ করে বলেন, এর সাথে সেখানে জড়িতদের সাজা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সুশাসন এবং দেশের ইতিবাচক ইমেজ তুলে ধরার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এখন দেশের স্বার্থে পিআর ফার্মের নিয়োগ দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাফল্য জানান দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ উইং তৈরি করেছে। তার নাম দিয়েছি ‘পাবলিক ডিপ্লোমেসি’। আমি এবং আমাদেও সরকার ইয়ং জেনারেশনের চাকরির সংস্থান চাই, বিনিয়োগ চাই, রফতানি বাড়াতে চাই। আমরা প্রবাসী ও বিদেশিদের ভালো সার্ভিস দিতে চাই। বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি’ এই ব্র্যান্ডিং থেকে বের হতে চাই।