ন্যাভিগেশন মেনু

টয়লেটের ভেনটিলেটর দিয়ে সন্তানকে ফেলে দিলেন মা


নাটোর সদর হাসপাতালে টয়লেটের ভেনটিলেটর দিয়ে সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতককে ফেলে দিলেন এক মা।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে হাসপাতাল ভবনের কার্নিশ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত ওই মায়ের নাম সুইটি (২০)। সে সদর উপজেলার লেঙ্গুরিয়া এলাকার রাজিবের স্ত্রী। এ ঘটনায় নবজাতকের মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, 'গত বুধবার (৯ ডিসেম্বর) হাসপাতালে ভর্তি হন রাজিবের স্ত্রী সুইটি। বৃহস্পতিবার রাতের কোনও এক সময় সুইটি হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের বাথরুমে বাচ্চা প্রসব করে তার সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাকে ভেনটিলেটর দিয়ে ফেলে দিলে তা কার্নিশে আটকে যায়। সকালে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে এলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে।'

তিনি আরও জানান, 'প্রসবের সময় নবজাতকটি জীবিত ছিল কি না তা এখনও জানা যায়নি।'

এ প্রসঙ্গে সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আনছারুল হক জানান, 'গত ৯ ডিসেম্বর অসুস্থতার কারণে সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয় সুইটি। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে। গত মাসেও তার পিরিয়ড হয়। তাই তার গর্ভে সন্তান আসার বিষয়টি জানতেন না তিনি। গত রাত আড়াইটার দিকে টয়লেটে যাওয়ার পর তার মৃত কন্যা শিশুর জন্ম হয়। এতে সে শঙ্কিত হয়ে পরে, কেনোনা; তার স্বামী বা কেউ এমনকি নিজেও ঘটনাটি জানে না।'

তিনি আরও জানান, 'বিষয়টি জানাজানি হলে তার স্বামী, স্বজন বা প্রতিবেশীরা অন্যভাবে নিতে পারে এমন ভাবনা থেকে সে ওই টয়লেটের ভেনটিলেটর দিয়ে শিশুটির মরদেহ ফেলে দেয়।'

সুইটি ঘটনাটি স্বীকার করলে মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারকে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।

ওয়াই এ/এডিবি