ন্যাভিগেশন মেনু

বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েল গেজ নিয়ে রাইটস-আরভি’র সঙ্গে চুক্তি


দেশের রেল অবকাঠামোর আরও আধুনিকীকরণ এবং অভ্যন্তরে রেল যোগাযোগ উন্নততর করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ভারত সরকারের সহজ শর্তে দেয়া ঋণচুক্তির আওতায় বগুড়া থেকে শহীদ এম. মনসুর আলী স্টেশন, সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত একটি নতুন সরাসরি রেলসংযোগ স্থাপিত হবে। ভারতীয় এক্সিম ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই তহবিল বিতরণ করা হবে।

প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতীয় পরামর্শদাতা সংস্থার (RITES লিমিটেড এবং আরভি অ্যাসোসিয়েটসের যৌথ উদ্যোগ) মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনএবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার  বিক্রম দোরাইস্বামী।

         

(বগুড়া থেকে শহীদ এম. মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেল সংযোগের পরিকল্পিত চিত্র)


বাংলাদেশ রেলওয়ের রেল ভবনে অনুষ্ঠিত চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সচিব (রেলওয়ে) মো. সেলিম রেজা। বাংলাদেশ সরকারের রেল মন্ত্রণালয়, ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা, এক্সিম ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, ঢাকা কার্যালয়, RITES লিমিটেড এবং আরভি অ্যাসোসিয়েটস আর্কিটেক্টস ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসাল্টেশন্স প্রাইভেট লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণঅনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পরামর্শ পরিষেবার মধ্যে রয়েছে- প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, বিস্তারিত ইঞ্জিনিয়ারিং নকশা এবং সেতু, বাঁধ, রেলপথ, স্টেশন, সিগন্যালিং এবং অন্যান্য সমস্ত স্থপনার নকশা অঙ্কন, যাত্রাপথ নির্ধারণ, গাণিতিক মডেলিং, টেন্ডারিং এবং নির্মাণ তত্ত্বাবধান পরিষেবা।

প্রকল্পের বাস্তবায়ন চূড়ান্ত হয়ে গেলে, বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ডুয়েল গেজ প্রধান লাইন এবং লুপ লাইন নির্মাণের পাশাপাশি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম, সেতু, একটি প্রশাসনিক স্থাপনা, বাতি স্থাপন, ওভারহেড সাইন স্ট্রাকচার এবং ট্র্যাক বিছানোর কাজ সম্পন্ন হবে।

প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পর, রাজধানী ঢাকা হয়ে বাংলাদেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চল এবং পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্তডুয়াল গেজ সংযোগ স্থাপন হবে। এই নতুন রেলপথ প্রায়১১২ কিলোমিটার দূরত্ব হ্রাস করবে, ফলে ঢাকা থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রায় তিন ঘন্টা সময় সাশ্রয় হবে। এটি নির্বিঘ্নে ব্রডগেজ এবং মিটারগেজ ট্রেন চলাচল সহজতর করবে এবং দ্রুত ও উচ্চমানের যাত্রী পরিষেবা প্রদান করবে।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের তাৎপর্যপূর্ণ পঞ্চাশ বছর উদযাপন হচ্ছে এবছর যা কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও ছাপিয়ে যায়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার এবং মানুষে-মানুষের সংযোগ সম্প্রসারণের জন্য আধুনিক অবকাঠামো উন্নয়নের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

এস এস