ন্যাভিগেশন মেনু

বঙ্গোপসাগরে লবণ বোঝাই ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ৫০ জনের অধিক


বঙ্গোপসাগরের উপকূল চট্টগ্রামের আনোয়ারায় লবণবোঝাই কমপক্ষে ২০টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক লোক নিখোঁজ রয়েছেন। নৌপুলিশ এবং কোস্টগার্ডের সহায়তায় সাগর থেকে ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার সকাল ৮ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণ বুঝাই ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার আনোয়ারা উপকূলে সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ৩৪ জনকে উদ্ধার করলেও বাকিদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড।
 
উদ্ধার মাঝি মাল্লাদের মধ্যে ১৩ জনের নাম পাওয়া যায়। তারা হলো- কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী ট্রলারের মাঝি মো: মানিক, নূরুল আমিন, মো আনিস, বাঁশখালী উপজেলার আল্লার দান ট্রলারের মাঝি মো: জিয়া, মো আলী, মো মানিক, মো: সোহেল, মো: মনছুর, জাবেদ আহমদ, বার আউলিয়া ট্রলার মাঝি মো: ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব। নিখোঁজ মাঝি মাল্লাদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশন।
 
নিখোঁজ বার আউলিয়া ট্রলারের মালিক কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমার ট্রলারটি লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিল। একই সাথে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরো ১৫-২০টি লবণবাহী ট্রলার গহিরার বার আউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। তবে আনার ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করা হয়। আমার ডুবে যাওয়া ট্রলারের মূল্য ২০ লাখ টাকা।

গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছি। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌপুলিশের ওসি মো: একরাম উল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন মাঝিমাল্লাকে নৌপুলিশ এবং কোস্টগার্ড যৌথভাবে উদ্ধার করেছে। স্থানীয় লোকজনও বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।