ন্যাভিগেশন মেনু

বাংলাদেশে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী ইরাক


বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরাক।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাণিজ্যমন্ত্রীর বাসভবনে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন ইরাকের রাষ্ট্রদূত। ইরাকের রাষ্ট্রদূত আব্দুলসালাম সাদ্দাম মোহাইমসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানান।

ঢাকায় নিযুক্ত ইরাকের রাষ্ট্রদূত আব্দুলসালাম সাদ্দাম মোহাইমসেন বলেন, ইরাক বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন ও সময়োপযোগী করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ব্যাবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ইরাক সফরের আমন্ত্রণ জানান।

বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইরাকের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এজন্য উভয় দেশের সরকারি এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে বাণিজ্য প্রতিনিধি দল সফর বিনিময় করলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের খাতগুলো চিহ্যিত করা সহজ হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ইরাকের সাথে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। এতে উভয় দেশের মধ্যে ব্যাবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ  এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশ বিনিয়োগে এগিয়ে এসছে। ইরাকের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করেছে এবং বেশকিছু আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। ইরাক বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে এ সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।

উল্লেখ্য, চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ইরাকে ৩.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যে পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ইরাক থেকে ৫৩.৪২ মিরিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। ইরাকের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, মেডিকেল পণ্য, পাটজাত পণ্য, হোম টেক্স এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।