ন্যাভিগেশন মেনু

বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট


করোনা মহামারির চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার বুসিক।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সোমবার (১১ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বেলগ্রেডে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে অনুষ্ঠানের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্বিয়া প্যালেসে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতকালে বুসিক এই ভূঁয়সি প্রশংসা করেন।

এ সময় ড. মোমেন ঢাকা ও বেলগ্রেডের মধ্যকার গভীর ঐতিহাসিক আন্তরিক ও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বিশেষকরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যুগোশ্লাভিয়ার সাবেক পেসিডেন্ট জোসেফ ব্রোজ টিটোর মধ্যকার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ এখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে জেনে সার্বিয়ান প্রেসিডেন্ট এ ব্যপারে যথেষ্ট আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সার্বিয়ার চলমান ও উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বহু মানব সম্পদের প্রয়োজন উপলব্ধি করে ড. মোমেন বাংলাদেশ থেকে আইটি বিশেষজ্ঞ, ইলেক্ট্রিশিয়ান ও প্লাম্বারসহ দক্ষ ও আধা-দক্ষ শ্রমিক নেয়ার আহ্বান জানান।

সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট একে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশ থেকে এসব ক্ষেত্রে শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে একটি প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুত্বারোপ করেন।

বন্ধুপ্রতীম দু’টি দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সর্ম্পক দৃঢ় করার লক্ষে ড. মোমেন সরকার ঘোষিত অত্যন্ত বিনিয়োগ অনুকূল সুবিধা গ্রহণ করে সার্বিয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ থেকে আমদানি এবং এখানে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থীর নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তিনি সার্বিয়ার ন্যায় ভ্রাতৃপ্রতীম দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।

সার্ভিয়ার প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে বাংলাদেশের উদারতার প্রসংশা করেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বেলগ্রেডে চলমান জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন-ন্যাম-এর ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে একটি ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

৪০টি দেশের মন্ত্রী ও ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই সম্মেলন অনূষ্ঠিত হচ্ছে। এ সময় মন্ত্রীর আরো কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।