ন্যাভিগেশন মেনু

বিএনপি বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী


বিএনপি বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।

তিনি সোমবার (২৩ মে) জেলার বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক বিশাল সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এখন বড় কাজ হলো দেশে গুজব ছড়িয়ে আতংক তৈরি করা। বিএনপির কষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশে কেন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো হচ্ছে না? তাদের মনের চিন্তা বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষ পীড়িত দেশ হবে। বিএনপি বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার নদীর নাব্যতা আনতে, নদী দখলমুক্ত করতে ও নদী দূষণের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আমরা নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ধরে রাখতে চাই। নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে ড্রেজার বেইজ স্থাপন করা হচ্ছে। প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত বরিশাল এখন সে জায়গায় নাই। এখানকার নদীনালা খালগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে।

বরিশালে অত্যাধুনিক নদী বন্দর স্থাপন করা হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য বন্দরগুলোর আধুনিকায়ন করা হবে। প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ নৌযানের মাধ্যমে নৌঝুঁকি ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর দখল ও দূষণ নিয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষ এখন কথা বলে, এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সফলতা। আমরা মানুষকে দখল ও দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা করতে পেরেছি। নদীর দখল ও দূষণকে চিহ্নিত করে নদীর জায়গা নদীর কাছে ফিরিয়ে দেব।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর নৌপথ খননের জন্য ৭টি ড্রেজার এনেছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় সরকারি ড্রেজার আসেনি। নৌপথ খননের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ৪০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে, আরো ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যকম চলমান রয়েছে। দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে।

খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১বছর দেশের কোন উন্নয়ন হয়নি। গত ৪০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি  হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার ১৩ বছরের শাসন আমলে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।

বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সিটি কর্পোরেমনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য  এডভোকেট তালুকদার মো.ইউনুস, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো.ওয়াহিদুর রহমান,  অতিরিক্ত ডিআইজি মো.এনামুল হক, পুলিশ সুপার মো.মারুফ হোসেন  ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো.শহীদুল ইসলাম ।