ন্যাভিগেশন মেনু

কিউকমের প্রতারণা বানিজ্য, বিনিয়োগের টাকা ফেরত চায় ভুক্তভোগী জনসাধারণ


কিউকম দেশের একটি বৃহত্তর ই-কমার্স প্রতিষ্টান। এই প্রতিষ্ঠানটি বিজ্ঞাপন ও নিয়মিত ক্যাম্পেইন আয়োজন করে গ্রাহকদের নজরে আসে। 
এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২১সালের জুন মাসে বিভিন্ন প্রোডাক্টের উপর ৩০% থেকে শুরু করে ৬০% এবং ৭০% ছাড় দিয়ে ই-কমার্স ক্যাম্পেইন আয়োজন
 করে, আমরা গ্রাহকবৃন্দ উক্ত ক্যাম্পেইন থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স নীতিমালা অনুসরণ করেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করি, নিয়ম 
অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারির কথা ছিল এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেলিভারি কার্যক্রম শুরু করলেও পরবর্তীতে তা অসমাপ্ত থেকে যায়,
 কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয় সরকারের এস্কো সিস্টেমকে। ফলে আমরা ক্রয়কৃত পণ্য বা টাকা বুঝে পাইনি, বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে
 পেরেছি এমন ভুক্তভোগী গ্রাহকের সংখ্যা প্রায়  এক হাজার এর অধিক, যাদের ক্রয় কৃত পণ্যের মূল্য  প্রায় ১০০ কোটির বেশি, অর্থাৎ গ্রাহকদের 
পাওনা কৃত অর্থ প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। আমরা সাধারণ ভুক্তভোগীরা বর্তমানে আমাদের পাওনা টাকা পাওয়ার কোন কার্যকরী পদক্ষেপ লক্ষ্য করছি না।
 
অভিযোগ:

১. আমরা চাচ্ছি কিউকম এর সিইও রিপন মিয়াকে আইনের মাধ্যমে গ্রেফতার না করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকারের আওতায় রেখে গ্রাহকদের 
   পাওনা টাকা দ্রুত ছাড় করণের ব্যবস্থা করা।

২. বর্তমানে ভুক্তভোগী গ্রাহকের সংখ্যা এবং  তাদের অর্ডার আইডি সহ মোট টাকার পরিমান চূড়ান্ত লিস্ট  আকারে সম্পূর্ণ একবারে প্রকাশ করা ।
৩. ভোক্তা অধিকার যে মামলাগুলো হয়েছে তার দ্রুত নিষ্পত্তি করা
 
৪. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ফোস্টারের অতিরিক্ত টাকা রিপন মিয়াকে না দিয়ে তা গ্রাহককে ফিরিয়ে দেওয়া।

৫. ধামাকা, ২০২১ইং এর ১৫ থেকে ১৮ জুন , ব্যাংক ডিপোজিট সকল কিছুর সমাধান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ও ভোক্তা অধিকারের মাধ্যমে সমাধান করা।

৬. বারবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ফোস্টার কর্পোরেশনকে দোষারোপ করে অতিরিক্ত সময় নিয়ে আজ ২ থেকে ৩ বছর পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের প্রোডাক্ট 
     বা আমাদের অর্ডার কৃত টাকার কোন অংশই আমরা ফেরত পাইনি।
৭. আমরা ইতিমধ্যে কিউকমকে লিগেল নোটিস পাঠিয়েছি। যদি কিউকম যথাযথ ব্যবস্থা না নেয় আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব এবং কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন ও মানববন্ধন করব।

৮. লাস্ট লাইভে কিউকম সিইও রিপন মিয়া বলেছেন আগামী ১৫ জুন/২৩ইং থেকে টাকা দেওয়ার কথা শুরু থাকলেও আমরা এখন পর্যন্ত কোন লিস্ট বা কিভাবে টাকা 
দেওয়া শুরু করবে কোন সমাধান পাইনি, আমরা চাই  ফোস্টার এর অতিরিক্ত টাকা যা আছে সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে আমাদের টাকা ফেরত পাওয়া।