ন্যাভিগেশন মেনু

বিশ্ব ডিজিটাল শিক্ষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত বেইজিংয়ে


বিশ্ব ডিজিটাল শিক্ষা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১৩ ফেব্রুয়ারি বেইজিংয়ে আয়োজিত হয়। এবারের সম্মেলনের থিম: ‘ডিজিটাল রূপান্তর ও শিক্ষার ভবিষ্যৎ’। দু’দিনব্যাপী সম্মেলনে বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিরা অনলাইন ও অফলাইনে মত বিনিময় করেন।

চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী সুন ছুন লান সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার উন্নয়নের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে। চীন সরকার ডিজিটাল শিক্ষার উন্নয়নের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। অব্যাহত প্রচেষ্টার মাধ্যমে, চীনের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ৯৯.৫ শতাংশ স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম আছে। পাশাপাশি, চীনের জাতীয় স্মার্ট এডুকেশান পাবলিক সার্ভিস প্লাটফর্মও নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ৪৪ হাজারটি প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক কোর্স, ৬৭৫৭টি বৃত্তিমূলক শিক্ষা কোর্স এবং ২৭ হাজারটি উচ্চশিক্ষা কোর্স রয়েছে। এসব কোর্সের লক্ষ্য, দেশের ২৯ কোটি শিক্ষার্থীর সবাইকে, তাঁরা যেখানেই থাকুক না কেন, উচ্চ গুণগত মানের শিক্ষা দেওয়া। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন স্কুল ডিজিটাল প্রযুক্তি ও শিক্ষা—এই দুটি বিষয়কে সমন্বিত করার কাজও করে যাচ্ছে।

চীনে নিযুক্ত মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত ডিজিটাল শিক্ষা খাতে চীনের অর্জিত সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন,  ‘চীনে বিভিন্ন অঞ্চলের অবকাঠামো ও ইন্টারনেট উন্নত হয়েছে। আর এক্ষেত্রে তেমন ব্যয়বহুল সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়নি। এর লক্ষ্য ছিল, দেশের সবচেয়ে দূরবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত স্কুলগুলোও যাতে সবধরনের সুবিধা ও আন্তঃযোগাযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে। বিগত দশ বছরে, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে চীনের সাফল্য আন্তর্জাতিক মানের।’

তিনি আরও বলেন, গণিত, বিজ্ঞান, প্রকৌশলবিদ্যাসহ বিভিন্ন খাতে চীনের শিক্ষার গুণগত মান অনেক উন্নত হয়েছে।

এবারের সম্মেলনে ‘বিশ্ব ডিজিটাল শিক্ষা উন্নয়ন ও সহযোগিতা প্রস্তাব’ প্রকাশিত হয়। এ প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক সমাজকে সংলাপ ও বিনিময় জোরদার করা, বাস্তব সহযোগিতা গভীরতর করা, একযোগে ডিজিটাল শিক্ষার সংস্কার করা ও “শিক্ষার লক্ষ্য ২০৩০’ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী সুন ছুন লান বলেন, ডিজিটাল শিক্ষার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক চীন। পাশাপাশি চীন আরও বেশি উচ্চ মানের ডিজিটাল শিক্ষার সেবা ও পণ্য সরবরাহ করবে, ডিজিটাল শিক্ষার ব্যবস্থাপনার মান উন্নত করবে এবং উন্মুক্ত, ভাগাভাগি, সমান, পারস্পরিক কল্যাণ, সুস্থ ও নিরাপদ বৈশ্বিক ডিজিটাল শিক্ষার পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাবে। চীন ডিজিটাল শিক্ষার সুফলকে বিভিন্ন দেশের জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায় এবং মানবজাতির সভ্যতার অগ্রগতি ও মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠায় আরও বড় অবদান রাখতে ইচ্ছুক।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার জন হপকিন্স ভিডিও-লিঙ্কের মাধ্যমে এবারের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি ডিজিটাল শিক্ষা খাতে চীনের সাথে সহযোগিতা জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “শিক্ষা বরাবরই দু’দেশের সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদী স্তম্ভ। নিউজিল্যান্ড অব্যাহতভাবে চীনের সাথে শিক্ষা খাতে সহযোগিতা জোরদার করবে। আমি অনেক আনন্দিত এই ভেবে যে, আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অব্যাহতভাবে চীনসহ আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা বজায় রাখতে পারছি।” - সূত্র: সিএমজি