ন্যাভিগেশন মেনু

ভারতকে গুড়িয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড


অ্যাডিলেইড ওভালে বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে ভারত। জবাব দিতে নেমে ২৪ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংলিশরা। রোববার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।  

ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এসে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ৫ বলে ৫ রান করে ক্রিস উকসের বলে উইকেটের পেছনে জশ বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান উদ্বোধনী ব্যাটার লোকেশ রাহুল।  

এরপর রোহিতের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন কোহলি। ক্রিস জর্ডানের বলে ডিপ মিডউইকেটে দারুণ ক্যাচ ধরেন শ্যাম কারান। ২৮ বলে ২৭ রান করে ফিরতে হয় রোহিত শর্মাকে। এই টুর্নামেন্টে ভারতের বড় আশার নাম সূর্য কুমার যাদব। তিনিও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি।  

১০ বলে ১৪ রান করে ফিল সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে সূর্য ফেরেন আদিল রশিদের বলে। এরপর হার্দিকের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন কোহলি। তিনি পেয়ে যান চলতি টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরির দেখাও।  

৪০ বলে ৫০ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে আদিল রশিদের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় কোহলিকে। তবে অন্য প্রান্তে বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মাতেন পাান্ডিয়া। একটা সময় দলের রান দেড়শ হবে কি না তা নিয়েও সংশয় ছিল।  

কিন্তু দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নেন হার্দিক। ইনিংসের শেষ বলে হিট উইকেট হওয়ার আগে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন হার্দিক। ইংলিশদের পক্ষে ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জর্ডান।  

জবাব দিতে নেমে কোন রকম ঝুঁকি না নিয়েই খেলতে থাকেন ইংল্যান্ডের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস ও অধিনায়ক জশ বাটলার। বাউন্ডারি হাঁকানোর সঙ্গে সিঙ্গেলস ও ডাবলসে প্রয়োজনীয় রান রেটের চেয়ে দ্রুতগতিতে পাল্লা দিচ্ছিলেন তারা। ভারতের বোলাররাও কোনো রকম হুমকি হতে পারেননি দুই ব্যাটারের জন্য।  

শেষ অবধি দলকে জিতিয়েই মাঠে ছাড়েন তারা। গড়েন অবিশ্বাস্য ১৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি। এর মধ্যে হেলস ৪ চার ও ৭ ছক্কায় ৪৭ বলে ৮৬ রান করে ও বাটলার ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ বলে বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানোর আনন্দে মাতে ইংলিশরা, হৃদয় ভাঙে ভারতের।