ন্যাভিগেশন মেনু

বিডেশ ও বিএফডিএস'র ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালন


'করোনাকালীন মিশন, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চতুর্থ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ পালন করেছে বাংলাদেশ ডিজিটাল এডুকেশন সোসাইটি (বিডেশ)।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানী মিরপুরে ডিজিটাল দুনিয়ায় ডিজিটাল বাংলাদেশের উপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলোপমেন্ট সোসাইটি (বিএফডিএস) এর চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমানের স্বাগত ভাষণে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রযুক্তিবিদ, ফ্রিল্যান্সারসহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ডিজিটাল বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ফ্রিল্যান্সিংকে অন্তর্ভুক্ত করার ও ফ্রিল্যান্সারদের নানা বিষয় তুলে ধরেন।

সভায় বিএফডিএস-এর সাধারণ সম্পাদক ফ্রিল্যান্সার মাহ্ফুজ রহমান করোনা পরবর্তীতে ২০২১ সালে ফ্রিল্যান্সার কিভাবে সর্বাধিক সুযোগ সুবিধা পাবেন তার বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন প্রামাণ্যচিত্রসহ উপস্থাপন করেন।

ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেন। জনগণ সে ঘোষণায় আস্থা রেখে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে জনসেবা করার সুযোগ করে দেয়। বিডেশ ও বিএফডিএস ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে, শিক্ষাব্যবস্থায় ডিজিটাল রূপান্তর, ফ্রিল্যান্সারদের জীবন-মান উন্নয়নসহ নানাবিধ বিষয়ে কাজ করছে।’

এতে ভার্চুয়ালি আরও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কনসালটেন্ট ও ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ফরমার এপিকিউটিভ চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন।

অনুষ্ঠান উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বহু ভাষাবিদ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, প্রফেসর ড. মাসুদ এ. খান।

ড. মাসুদ এ. খান ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১২ বছরের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরেন এবং বিএফডিএস ও বিডিইএস-এর সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ঝলক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. জাহিদ চৌধুরী বিপুল।

আরও উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক দ্বিপক কুমার আচার্য, অশোকেশ রায়, প্রফেসর ড. আবু জাফর খান, প্রযুক্তিবিদ ও বিএফডিএস-এর অর্থ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ও বিডেশ-এর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন হেলাল।

অনুষ্ঠানের সভাপতির ভাষণে বাংলাদেশ ডিজিটাল এডুকেশন সোসাইটি বিডেশ-এর চেয়ারম্যান শিশু সাহিত্যিক জসিম উদ্দিন জয় বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে আমরা চাই বা না চাই, এতদিন পর্যন্ত আমাদের জীবনধারা, কাজকর্ম, চিন্তাচেতনা, শিক্ষাব্যবস্থা যেভাবে চলেছে সেটি বদলে যেতে শুরু করেছে। সারা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পরিবর্তন, ইন্টারনেট অব থিংস, যন্ত্রপাতি পরিচালনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, রোবোটিকস, জৈবপ্রযুক্তি, ব্লকচেইন, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো বিষয়গুলো চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সূচনা করেছে। এখন সময় এসেছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ডিজিটালে রূপান্তর করা।’

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষানুরাগী এবিএম মাসুদ আল মামুন, অ্যারাউন্ড মি বিডির স্বত্বাধিকারী ইউটিউবার লিটন আলী খান, প্রাইভেট ইন্টারন্যাশাল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. হাসান আলী, পপুলার মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম, ফুলকি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ তৈহিদুজ্জামান, অপফোর্ড স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আলম, রেইনবো ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আফজাল শরীফ, বিসিএফডিএফ বর্ণমালা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সাখাওয়াত হোসেন রিমন, ক্রিয়েটিভ প্রিপারোটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাসিম, অগ্রণী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ গোলাম মোরশেদ, ইউনিক গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম.এ আকবর, ইজি টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী কামাল হোসেন, আড্ডা ব্রডব্যান্ড-এর স্বত্বাধিকারী হুসনুল বারী, স্মার্ট টেকনোলজি বিডি'র পরিচালক মো. খোকন প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মনোমুগ্ধকর ডিজিটাল লেজার শো প্রদর্শিত হয়।

এস এ /এডিবি