ন্যাভিগেশন মেনু

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৫ অভিবাসী গ্রেপ্তার


মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে গার্মেন্টস কারখানা পরিচালনা ও শ্রমিক খাটানোর অভিযোগে ৪৬ বছর বয়সি এক বাংলাদেশিসহ ৪৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে দেশটির পুলিশ। এর সবাই

‘আইডি হ্যাক’ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাওয়া অবৈধ অস্থায়ী এমপ্লয়মেন্ট ভিজিট পাস (পিএলকেএস) পেয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছিলেন।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশটির অভিবাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দাতুক খাইরুল জাজাইম দাউদ (পিক্স) বলেন, বাংলাদেশি, মিয়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়ান ১৭ থেকে ৬৭ বছর বয়সি এই অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটিতে অবৈধভাবে গার্মেন্টস কারখানা পরিচালনা ও শ্রমিক খাটানোর অভিযোগে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকসহ ৪৫ অভিবাসী কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

দেশটির অভিবাসন পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (এমএসিসি) যৌথ অভিযানে সেলেঙ্গরের আমপাং এলাকা থেকে মালামাল ও যন্ত্রপাতিসহ তাদের আটক করা হয়। এ সময় অবৈধ কারখানা স্থাপনে সহযোগিতার অভিযোগে স্থানীয় মালয়েশিয়ান এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে পুলিশ। তিনি ওই কারখানার সহযোগী পরিচালক ছিলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত বাংলাদেশি আমপাং এলাকার একটি বাণিজ্যিক অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে একটিতে কারখানা এবং অন্যটিকে শো-রুম হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। তার কাছে কারখানা পরিচালনার কোনও লাইসেন্স ছিল না। এই কোম্পানির নাম ব্যবহার করে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও গাড়ি কিনে ব্যবহার করা হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ১ লাখ ৩০ হাজার রিংগিত থেকে শুরু করে ১ লাখ ৫০ হাজার রিংগিত পর্যন্ত উৎপাদন এবং বিপণন করতো।

শ্রমিকদের দিয়ে কারখানায় স্থাপিত মেশিনে কাপড় কাটা, সেলাই ও প্রিন্টিংয়ের কাজ করানো হতো। এরমধ্যে অনেক শ্রমিকের ভিসা নেই। নিয়োগকৃত শ্রমিকদের ১ হাজার ৬০০ রিংগিত অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৩২ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হতো।

গ্রেপ্তার আসামিদের দেশটির অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ৫ম ধারার ২ উপধারায় অভিযোগ গঠন করে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ওই মালয়েশিয়ান নারী অবৈধ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ায় ১৯৫৯/৬৩ ধারা এবং মানি লন্ডারিংসহ অন্যন্য অপরাধের জন্য ২০০১ এর ৬১৩ ধারায় অভিযোগ গঠন করেছে পুলিশ।

সিবি/এডিবি/