ন্যাভিগেশন মেনু

সাভারে অপহরণের ১৭ দিন পর পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার


ঢাকার সাভার থেকে অপহরণের ১৭ দিন পর এক পোশাক শ্রমিক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে কেরানিগঞ্জ উপজেলার হযরতপুর ইউনিয়ন থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত পোশাক শ্রমিকের নাম রাব্বি হোসেন (২১)। তিনি ভোলা জেলার লালমোহন থানাধীন গনেশপুর গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে। তিনি পরিবারের সাথে সাভারের হেমায়েতপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করতেন। অপরদিকে আটককৃতরা হলো, মো: রাসেল ও তার বাবা শাহজাহান।

পুলিশ সূত্রে জানায়, গত ২৬ নভেম্বর অপহরণকারীরা ওই পোশাক শ্রমিককে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকা থেকে অপহরণ করে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তারা অপহৃত যুবককে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে। এক পর্যায়ে ঘুম ভেঙে ওই যুবক চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে অপহরনকারীরা তার গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে লাশটি একটি বস্তায় ভরে কেরনিগঞ্জের হযরতপুর এলাকার একটি লেকে ফেলে দেয়।

গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো: আলী আকবর আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, ‘গত ২৬ নভেম্বর রাসেল ও মামুন নামে দুই অপহরনকারী ওই পোশাক শ্রমিককে অপহরণ করে মুঠোফোনে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে ভুক্তভোগীর বাবা ২৭ নভেম্বর বাদি হয়ে অপহরণের অভিযোগ এনে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি এঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে।’

তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে ঘটনার সাথে জড়িত রাসেল ও তার বাবা শাহজাহানকে ময়মনসিংহ জেলা থেকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার বিকালে নিহতের লাশটি উদ্ধার করা হয়।’

নিহতের বাবা নুর হোসেন অভিযোগ করেন, ‘ঘটনার পর ছেলে অপহরণের কথা জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করেনি। যার কারনে, তার ছেলেকে অপহরনকারীদের হতে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরন করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ২৬ নভেম্বর রাব্বি অপহরণ হওয়ার পর, ২৭ নভেম্বর তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ অবহেলা করে তার মামলাটি রেকর্ড করে ৩০ নভেম্বর। এদিকে অভিযোগ দায়েরের পর থানার পক্ষ থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান মাহমুদকে অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি সেসময় অসুস্থ্য থাকায় তিনি বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করেননি।

নুর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা অসুস্থ থাকায় বারবার অভিযোগটি সঠিক তদন্তের জন্য অন্য কাউকে হস্তান্তর করতে বারবার অনুরোধ করলেও তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে নেননি। অনেক অনুরোধের পর এক পর্যায়ে মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করে এবং আমার ছেলের লাশ উদ্ধার করে ‘

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘অসুস্থ ছিলাম সত্য, কিন্তু তদন্তে বা ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের প্রচেষ্টায় কোন অবহেলা কিংবা গাফিলতি ছিলো না।’

এমআইআর/ওআ