ন্যাভিগেশন মেনু

সরকার পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: কৃষিমন্ত্রী


বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

বুধবার (২২ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সাউথ এশিয়া নাইট্রোজেন ফ্রেমওয়ার্ক পলিসি বিষয়ক' সাব রিজিওনাল ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাউথ এশিয়া কোঅপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (সাসেপ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী  বলেন, বাংলাদেশ খুবই দুর্যোগপ্রবণ দেশ। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায়ই ফসলের ক্ষতি হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, খরা প্রভৃতি বাড়বে। এসব বিরূপ পরিবেশে চাষযোগ্য ফসলের জাত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে নাইট্রোজেনের ইফিসিয়েন্সি খুবই কম, মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। নাইট্রোজেনের বাকি ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অপচয় হয়ে যায়। এ অবস্থায়, ইফিসিয়েন্সি বাড়ানোর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। 

আঞ্চলিক পলিসি রিপোর্ট প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে কৃষি হলো প্রধান জীবিকা যেখানে ফসল উৎপাদন এবং পরিবেশ দূষণ রোধে নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এই অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য টেকসই নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনার বিকাশে এখনই পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাসেপ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নাইট্রোজেন দূষণ নীতি ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আঞ্চলিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং নেপাল এই চারটি দেশ তাদের জাতীয় প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে এ অঞ্চলে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, মানব স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির জন্য নাইট্রোজেন দূষণজনিত উচ্চ ও দ্রুতবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপের গ্রহণের জন্য মূল দিকগুলো চিহ্নিত করেছে। নাইট্রোজেন দূষণের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

সাসেপের মহাপরিচালক মাসুমুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, শ্রীলঙ্কার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব অনিল জাসিংগে প্রমুখ।