ন্যাভিগেশন মেনু

হাইস্পিড বুলেট ট্রেনের নকশার চূড়ান্ত অনুমোদন ডিসেম্বরে


ডিসেম্বরেই চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে হাইস্পিড বুলেট ট্রেনের নকশা। সরকারের গৃহীত বুলেট ট্রেন প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত অনুমোদন হলে এ হাইস্পিড রেলের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে সর্বোচ্চ সময় লাগবে ৫৪ মিনিট।

ঘণ্টায় বুলেট ট্রেনের গতি হবে ১৪০ কিলোমিটার। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে এ ট্রেন আড়াই কিলোমিটার (২.৩৩ কিলোমিটার) গতিতে চলতে সক্ষম।

বর্তমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের রেলপথ প্রায় ৩২১ কিলোমিটার। তাই দেশের বিভিন্ন জেলা ঘুরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে এখন সময় লাগে ছয় ঘণ্টা। আর তাই সংক্ষিপ্ত পথে এই রুটে রেলপথ করার পরিকল্পনা করছে সরকার। জানা গেছে, ‘২৩৩ কিলোমিটার হবে নতুন রেল রুট।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন রেলপথ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।

প্রতিবেদনে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড রেলপথের জন্য চারটি সম্ভাব্য রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো-

১. ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম।

২. ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, লাকসাম, ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম।

৩. ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম।

৪. ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, লাকসাম, ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম।

এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী সুবক্তগীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুলেট ট্রেনের প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশনের প্রতিনিধিরা। ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেকে যাবে।’

জানা গেছে, ‘যৌথভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও নকশার কাজ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন (চিন) ও মজুমদার এন্টারপ্রাইজ (বাংলাদেশ)।’

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বুলেট ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। আর দিনে ট্রেনটি ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এ জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে দুই হাজার টাকার মতো ভাড়া গুনতে হবে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘আগামী বছর নির্মাণ কাজ শুরু হলে ২০২৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালু করা যাবে।’

ওয়াই এ/এডিবি