ন্যাভিগেশন মেনু

সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন: নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুরোপুরি নেভেনি


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনো আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। অবশ্য আগুন এখন আর ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে আগুন পুরোপুরি নিভতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ঘটনাস্থলে কাজ করছে সেনাবাহিনী সদস্যরাও।

সোমবার (৬ জুন) সকাল ৯ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, আমরা এখনো আগুন নেভানোর কাজ করছি। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কনটেইনারে এখনো আগুন জ্বলছে, ধোয়া বের হচ্ছে। আমরা সাবধানতার সঙ্গে সেগুলোতে পানি দিচ্ছি। আর যেসব কনটেইনার আগুনে কোনো ক্ষতি হয়নি সেগুলো নিরাপদে সরিয়ে দিচ্ছি। আমাদের ৯টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে।

ফায়ার সাভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়, আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমাদের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ডিপোর সবগুলো শেডের ভেতরে প্রবেশ করে উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায় নি। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আশঙ্কা, আশপাশে থাকা কনটেইনার গুলোতে রাসায়নিক না থাকলে হয়তো আগুন আর বেশি ছড়াবে না। কিন্তু রাসায়নিক থাকলে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা আছে। রাসায়নিক আছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা সীতাকু- থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুমন বণিক  বলেন, আগুন জ্বলছে। এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ধোয়াও উঠছে।

এদিকে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের পরিবারে জেলা প্রশাসনের সহায়তার টাকা হস্তান্তর হয়েছে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী জানান, নিহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।