ন্যাভিগেশন মেনু

‘দ্য জার্নি অফ আ লিজেন্ডারি ল্যান্ডস্কেপ পেইন্টিং’ একটি সাড়া জাগানো নৃত্যনাট্য’


চীনের ঐতিহ্যবাহী অপেরা ও ডান্স ড্রামাগুলো নতুনভাবে ইতিহাস ও প্রাচীন সংস্কৃতির প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ জাগিয়েছে। ‘দ্য জার্নি অফ আ লিজেন্ডারি ল্যান্ডস্কেপ পেইন্টিং’ নামে একটি বহুল জনপ্রিয় নৃত্যনাট্য ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতি এবং হান যুগের পোশাক ও কস্টিউম ড্রামার প্রতি তরুণদের আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

‘দ্য জার্নি অফ আ লিজেন্ডারি ল্যান্ডস্কেপ পেইন্টিং’ একটি সাড়া জাগানো নৃত্যনাট্য। চীনা ইতিহাসের এ্কজন বিখ্যাত শিল্পী ওয়াং  সিমাং। সং রাজবংশের রাজত্বকালে  ১০৯৬সালে জন্ম গ্রহণকারী এই শিল্পীর মাস্টারপিস পেইন্টিং ‘এ প্যানোরমা অব মাউন্টেনস অ্যান্ড রিভারস’ নামের বিখ্যাত চিত্রকর্ম সৃষ্টির উপর এই নাটক। এই নাটকের পর তরুণ সমাজে হান পোশাক ও ওই সময়ের ইতিহাস বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

চাং হান, প্রধান অভিনেতা, ‘দ্যা জার্নি অফ আ লিজেন্ডারি পেইন্টিং’নাটক। তিনি বলেন, ‘আমার চরিত্রটি সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য আমি ঐতিহ্যবাহী চীনা পেইন্টিং শিখেছি সেন্ট্রাল অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের শিক্ষকের কাছ থেকে। আমি যখন প্রথম বার এতে অভিনয় করি তখনও আমি পেইন্টিং শিখছি। গত বছর আমি এই পেইন্টিংয়ের প্রেমে পড়ে যাই। যতবার আমি শো করার জন্য ট্যুরে গেছি, আমি সুন্দর দৃশ্য দেখতে যাই।’

গত বছর আগস্টে এই নৃত্যনাট্যটির উদ্বোধনী শো এর পর থেকে এবং বসন্ত উৎসবের সময় সিএমজির স্প্রিং গালাতে পরিবেশনের পর এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। মহান চীনা শিল্পী ওয়াং সিমাংয়ের ভূমিকায়  অভিনেতা চাং হানও তারকা খ্যাতি পান। পাশাপাশি খ্যাতি পান অন্য শিল্পীরাও। ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয় তাদের হানফু বা ঐতিহ্যবাহী চীনাপোশাক, সেই যুগের শিল্পকর্ম ও ইতিহাসের প্রতি।

মং ছিংইয়াং, প্রধান নৃত্যশিল্পী, ‘দ্যা জার্নি অফ আ লিজেন্ডারি পেইন্টিং’। তিনি বলেন, ‘ আপনি অনুভব করবেন যে এটা শিল্পে একটা নমুনা হিসেবে প্রাচীন মানুষের চেতনাকে মূর্ত করে তোলে। একটি শিল্প নিদর্শন হিসেবে এটি শিল্পী ও দর্শকের মধ্যে স্পষ্ট বোঝাপড়াকে তুলে ধরে।’

নৃত্যশিল্পীদের অনুশীলন, তাদের পরিবেশনা প্রাচীন শিল্প ও ইতিহাসের প্রতি এবং হানফু পোশাকের প্রতি সাধারণ মানুষকে আগ্রহী করে তুলেছে।

সিয়ে সুহাও, নৃত্যনাট্যের একজন প্রধান শিল্পী। তিনি বলেন, ‘দর্শকদের মধ্যেও অনেকে হানফু পরেছেন। অনেকে এমনকি আমাদের নৃত্যনাট্যের কস্টিউম পরে আমাদের পরিবেশনা দেখতে থিয়েটারহলে এসেছেন। আমি মনে করি এটা তাদের উপর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির প্রভাব।”

থিয়েটার হলগুলোতে ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতির বিভিন্ন নিদর্শনের প্রতিও আগ্রহ প্রকাশ করছে সাধারণ মানুষ। নৃত্যনাট্যটি এভাবেই ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ ছড়িয়ে দিচ্ছে। (সূত্র: সিএমজি)