ন্যাভিগেশন মেনু

এহসানুল হক জসীম

এহসানুল হক জসীম
Nov 19, 2023

জাতীয়

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে গড় আয়ু এখন সবচেয়ে বেশি

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে গড় আয়ু এখন সবচেয়ে বেশি

অসংক্রামক রোগ-ব্যাধি বাড়লেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।   একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০ বছরে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং স্বাস্থ্যের অগ্রগতির দিক থেকে দেশটি এই অঞ্চলে এগিয়ে রয়েছে। ভুটান, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তান তথা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু এখন সবচেয়ে বেশি। ১৯৯০ সাল থেকে ত্রিশ বছরেরও অধিক সময়ে বাংলাদেশে গড় আয়ু ৫৮.২ থেকে বেড়ে ৭৪.৬ বছরে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে বয়স অনুপাতে মৃত্যুর হার অর্ধেকে হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, এই সময়ের মধ্যে মৃত্যুর হার অর্ধেকেরও বেশি কমেছে তথা ৫০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে। “The burden of diseases and risk factors in Bangladesh, 1990–2019: a systematic analysis for the Global Burden of Disease Study 2019” শীর্ষক একটি নতুন গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ (জিবিডি) সমীক্ষার ফলাফল থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে একদল গবেষক কর্তৃক পরিচালিত এই জিবিডি গবেষণার ফলাফল আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথ’ (The Lancet Global Health) এ গবেষণা নিবন্ধ আকারে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। দ্য ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) এই জিবিডি গবেষণা পরিচালনা করে। আইএইচএমই হচ্ছে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন- এর একটি উদ্যোগ।জিবিডি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মৃত্যুর হার এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি অর্ধেকেরও বেশি হ্রাস করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ১৯৯০ থেকে ২০১৯, এই ত্রিশ বছরে বয়স অনুপাতে মৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৫০৯ জন থেকে কমে ৭১৪ জন হয়েছে। গবেষণা বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বিগত ৩০ বছরে বাংলাদেশে বয়স অনুপাতে মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম।গবেষণা প্রবন্ধে আরো বলা হয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপানজনিত রোগ-সহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে মৃত্যু প্রধান কারণগুলির মধ্যে ছিল। স্ট্রোক, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ বিগত এই সময়ে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।গবেষকরা তাদের প্রবন্ধে দেখান যে, অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও সিএমএনএন রোগ (সংক্রামক, মাতৃত্বকালীন, নবজাতক এবং পুষ্টিজনিত রোগ) কমার কারণে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।গবেষক দল সুপারিশ করেন যে, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং শহুরে ও গ্রামীণ উভয় পরিবেশে স্বাস্থ্যকর জীবনধারাকে উন্নীত...