ন্যাভিগেশন মেনু

অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় বাবরের ৮ বছরের কারাদন্ড


অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৮ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় ৩ ও ৫ বছর করে মোট ৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে এ দুই ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

সেই সঙ্গে রায়ে বাবরের জ্ঞাত আয় বর্হিভূতভাবে অর্জিত ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকাসহ তার ব্যাংকের দু’টি এফডিআর-এর ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে আজ বাবরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম রাষ্ট্র ও আসামীপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন।

২০০৭ সালের ২৮ মে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হন বাবর। পরে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদক রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে। মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারি পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারি পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে দুটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়। একই বছরের ১২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় ৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।