ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৭তম বন্দর দিবস পালিত


চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৩৭ তম বন্দর দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসের শুরুতে বন্দর ভবন চত্বরে চবক এর সদস্যগণ ও বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং বন্দর সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। 

একই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সকল জলযান ও জাহাজ হতে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়।

বন্দর দিবস উপলক্ষে বন্দর ভবন ফয়ারে উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন এবং সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ, বন্দরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ চবক চেয়ারম্যান ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

১৩৬ বছর আগে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় এই দিনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দর। ইংরেজ শাসনের প্রথম দিকে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক এক টাকা সেলামির বিনিময়ে নিজ ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীতে কাঠের জেটি নির্মাণ করেন। পরে ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম দুটি অস্থায়ী জেটি নির্মিত হয়। ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার গঠিত হয়। ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি মুরিং জেটি নির্মিত হয়। ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার কার্যকর হয়। এরপর ১৮৯৯–১৯১০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার ও আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে যুক্তভাবে চারটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করে। ১৯১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে রেলওয়ে সংযোগ সাধিত হয়। ১৯২৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরকে মেজর পোর্ট ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।