ন্যাভিগেশন মেনু

শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল নয়ছয়

দুদক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়!


বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির অর্থ আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে গুরতর অসংগতি, তহবিল নয়ছয় ও অর্থ আত্মাসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে। গত ৮ বছরে অন্তত সাড়ে চার কোটি টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ তুলে লিখিত পত্র দেওয়া হয়েছে খোদ দুর্নীতি দমন কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির বর্তমান সভাপতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী, মহাসচিব নব পদোন্নতি প্রাপ্ত ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক শওকত হোসেন মোল্যা এবং কোষাধক্ষ্য নব পদোন্নতি প্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক কামাল আহমেদ তহবিল ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বে ছিলেন।

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের সমিতির একজন সাধারণ সদস্য এই বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে মাউশি বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন গত ০৫ জুন ২০২৩ সালে। জানা যায়, শৃঙ্খলা শাখা থেকে নথি উপস্থাপন হলেও যুগ্মসচিব পর্যায়ে নথি আটকে যায়। পরবর্তীতে নতুন করে অডিট রিপোর্টসহ আবারো অভিযোগ জমা পড়ে ৩১ শে মার্চ।

অভিযোগ পত্রের একটি কপি বাংলাদেশ পোষ্টের এই প্রতিবেদকের হাতেও এসেছে।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদের অডিট করার জন্য প্রফেসর এস এম মাহাবুল ইসলামকে আহবায়ক এবং সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নাহার এবং সহযোগী অধ্যাপক উম্মে ফারহানা চৌধুরিকে সদস্য করে একটি আভ্যান্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত অডিট কমিটির স্বাক্ষরিত অডিট রিপোর্ট সকল সদস্যর হাতে হাতে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। অডিট রিপোর্টের অর্থ নয়ছয়ের হাল দেখে শিক্ষা ক্যাডারের অর্থ ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে যে, ২০২২ সালর জুন থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বর্তমান কমিটির সভাপতি শাহেদ-মহাসচিব শওকত এর সময়ে দায়িত্ব গ্রহণের সময় এই পেশাজীবী সংগঠনের ব্যাংক হিসাবে ২৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৪৪৩ টাকা প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত ছিল।

এই মেয়াদে ৮১ লক্ষ ৫০ হাজার ২৭৫ টাকা চাঁদা আদায় হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে যা অঢিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে এবং দুদকে জমা দেয়া অভিযোগ পত্রেও বিষয়গুলো রয়েছে।

তাদের নিজেদের মতে, এই সময়ে মোট তহবিল ১ কোটি ১১ লক্ষ ২০ হাজার ৭১৮ টাকা। এই টাকা থেকে কোষাধ্যক্ষের তথ্য অনুযায়ী খরচ হয়েছে ৭৫ লক্ষ ১২ হাজার ৭৭৯ টাকা। কিন্তু সমিতির মহাসচিবের তথ্য অনুযায়ী ৮৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৬২৩ টাকা খরচ হয়েছে। কোন পেশাজীবী সংগঠনের দায়িত্বশীলদের হিসাবে এমন গরমিল নজির বিহীন বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

একই সংগঠনের মহাসচিব ও কোষাধক্ষ্যের হিসাবে এমন গরমিল সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। আবার খরচের সুনির্দিষ্ট কোন খাতের উল্লেখ নেই বলেও অডিট রিপোর্টে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সংগঠনের আইন সচিবের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে দেখা যায়, ৪৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৬৯ টাকা আইন খরচ হয়েছে। কিন্তু এই আইন খরচের কোন ভাউচার নেই বলে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়েও।

এই বিশাল আইনী খরচ সংগঠনের আইন সচিবের স্বাক্ষরিত একটি সাদা কাগজের ডকুমন্টেস বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষের ফেসবুকে দেয়া হয়েছিল কিছু দিন আগে; যা সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করেছেন।

প্রশ্ন উঠেছে- শিক্ষকতা পেশার একটি সংগঠনের আইন খরচের পরিমাণ এত বেশি কেন হবে? এত মামলায় আইনের আশ্রয় কেন নিতে হচ্ছে? সংগঠনের এই বড় অংকের খরচের উপযুক্ত ভাউচার ও স্বচ্ছ হিসাব নেই বলেও অভিযোগ এসেছে।

 এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কাকে দেয়া হলো, কে টাকা পেলেন তার রশিদও নেই। বাকী খরচেরও কোন বৈধ ভাউচার নেই বলে অভিযোগ এসেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সক্রিয় সদস্য বলেন, "হিসাবপত্রও কোন আইন কানুন মোতাবকে রাখা হয় নি; প্রচুর পরিমাণ অর্থ আত্মাসাৎ করা হয়েছে।'' অর্থ আয়ের একটি মাধ্যম হিসাবে এই সংগঠনের নাম ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার ও শাহেদুল খবির চৌধুরীর পূর্ববর্তী কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খান।"

বর্তমান কমিটির বক্তব্য অনুযায়ী সংগঠনের ব্যাংক হিসাবে ৩৬ লক্ষ ৭ হাজার ৯৩৯ টাকা জমা আছে। যদিও কারো কারো দাবি প্রকৃত টাকার অংক থাকার কথা আরো অনেক বেশি।

আরো অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ২৭/০৭/২০২৩ ইং তারিখে খাওয়া দাওয়ার বিল ১৫,৯০০ টাকা এবং ফটোকপির বিল ১,০৫০ টাকা যা একাধিকবারে দেখানো হয়েছে; কাজী হাসানকে ৩ হাজার ও নাজমুনকে ৩ হাজার টাকা প্রদানের কোন ভাউচার নেই; এমন আরো বহু অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ; শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িক ব্যক্তিদের হিসাবের এই অনিয়ম অনেকে মেনে নিতে পারছেন না ।

দুদকে দেওয়া অভিযোগে দাবি করা হয়েছে; মহাসচিব নিজের নামে রেফিজারেটর কিনেছেন সংগঠনের টাকায় যা অডিট রিপোর্টের ৮নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে। ২২/০৯/২৩ ইং তারিখে জুম মিটিংয়ে অ্যাপস খরচ দেখানো হয়েছে ৩ হাজার টাকা। মামলার খরচের জন্য বিশেষ তহবিলে ১৫ হাজার সদস্য বার্ষিক ১ হাজার টাকা করে চাঁদা প্রদান করলেও অডিট কমিটিকে এই বিষয়ে কোন তথ্য দেওয়া হয়নি বলে অডিট রিপোর্টে প্রকাশিত হয়।

আর আইন খরচ বাবদ বিশেষ তহবিল থেকে কত টাকা খরচ হয়েছে তারও কোন সঠিক তথ্য নেই বলে দাবী করেছেন সমিতির একজন সদস্য।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ২০১৬ সালের ১৫ই জুন থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ মেয়াদের সভাপতি ছিলেন প্রফেসর আইকে সেলিম উল্লাহ খন্দকার, তিনি ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ছিলেন। সেই কমিটির মহাসচিব পদে ছিলেন বর্তমান সভাপতি প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী, তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন পরিচালক। এবং জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা অ্যাকাডেমির সাবেক ডিডি অধ্যাপক খান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ছিলেন কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে।

জানা গেছে, তাদের সময়ের আর্থিক অনিয়মের অডিট রিপোর্ট হতভম্ব করে দিয়েছে শিক্ষা ক্যাডারের সকল সদস্যকে। তাদের আর্থিক অব্যবস্থাপনা-নয়ছয়ে চরম আস্থার সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন- এতে করে পুরো শিক্ষা ক্যাডার পরিবার এই আস্থার সঙ্কট থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন; সমিতির উপর আস্থা হারিয়ে নিজেদের অধিকার আদায়ের প্লাটফর্মটি শেষ হয়ে যাবার আশংকা করছেন তারা।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ২০১৬ সালের ১৫ই জুন থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ মেয়াদের অডিট করার জন্য প্রফেসর আ ন ম শাহাদাৎ হোসেনকে আহবায়ক করা হয়। এতে প্রফেসর মোঃ খায়রুল বাশার খান, (পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ঢাকা শিক্ষা বোর্ড) টুটুল কুমার নাগ ডিআইএ এর কর্মকর্তা, মোহাম্মদ মাসুম কবির হিসাববিজ্ঞানের সহযাগী অধ্যাপক ঢাকা কলেজ এবং ডিআইএর আরেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে সদস্য করা হয়।

২০১৬ সালে ৩৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬৩৪ টাকা জের ছিল বলে বর্তমান কমিটির দাবি। কিন্তু পূর্ববর্তী কমিটির সভাপতি প্রফেসর নাসরিন বেগম দাবী করেছেন- তিনি ২০১৬ সালে বিদায়ের সময় ১ কোটি ০৬ লক্ষ টাকা সমিতির সাধারণ তহবিলের ব্যাংক হিসাবে রেখে পরবর্তী বুঝিয়ে দিয়ে যান; এই গত ৭ বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ সমিতির ব্যাংক হিসাবে চাঁদা হিসেবে জমা হয়েছে। অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৬ ইং থেকে ২০২১ সালে সাধারণ তহবিলে জমা হয়েছে ১ কোটি ১৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৮৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৩২ টাকা; যা যথারীতি দুদকে লিখিত অভিযোগে সেই বিষয়গুলো কাগজপত্রসহ উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এই ৮৭ লক্ষ (প্রায়) টাকার খরচের কোন বৈধ ভাউচার নেই বলে অভিযোগ। বিশেষ তহবিলে ২০১৬ ইং সাল থেকে ২০২১ সালে জমা হয়েছে ৩৭ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৫৩ টাকা। ২০১৬ থেকে ২০২১ মেয়াদে আইন খরচ দেখানো হয়েছে ৩৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৫৮ টাকা, যার কোন বৈধ ভাউচার নাই বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

এই আইন খরচ সম্পর্কে একজন সদস্য বলেন, মাউশির একজন পরিচালক নিজের সহকর্মীদের প্রাপ্য অধিকারের নথি আটকে ক্ষুব্ধ করে তাদের উষ্কানি দিয়ে মামলার সুযোগ সৃষ্টি করায় শিক্ষা ক্যাডারে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়।  এতে করে শিক্ষা ক্যাডার স্থবির হয়ে পড়েছে। সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ কামাল আহমেদ ২০২২ সালের জানুয়ারী মাসে ব্ল্যাঙ্ক চেক স্বাক্ষর করে রেখে ৫৫ লক্ষ টাকা সমিতির ব্যাংক হিসাব থেকে তুলে নেওয়া অভিযোগ করেছিলেন মহাসচিবের বিরুদ্ধে। তিনি বিষয়টি তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্টও করেছিলেন যার কপি বাংলাদেশ পোস্টের হাতে এসেছে।

প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী ও খান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সময়ের ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ের আভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্ট বলছে- ৩০ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার কোন তথ্য নেই কিন্ত অর্থগুলো ব্যাংক হিসাবে সাধারণ সদস্যরা জমা করেছিলেন। অথচ ২০১৬ সালের আগের কমিটির সভাপতি প্রফেসর নাসরিন বেগম বাংলাদেশ পোষ্টকে বলেন যে,  আমার সময়ে কোন বিল ভাউচারেই আমার স্বাক্ষর ছাড়া টাকা দেয়া হতো না; তখন সদস্যদের আস্থার জায়গা ছিল।

মহাসচিব প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর খান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল সময়ের মোট এক ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা খরচের উপযুক্ত খাত প্রতিবেদনেও নেই। এই সংক্রান্ত উপযুক্ত ভাউচারও নেই বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এই সময়ের জন্য তৈরি করা অডিট রিপোর্ট বলছে ৩০ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার কোন হদিস নেই।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, এই সময়ের ৪৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মামলা বাবদ খরচের কোন রিকুইজিশন নেই। উপযুক্ত ভাউচারও নেই। অথচ রিকুইজিশন দিয়ে অর্থ উত্তোলণের নিয়ম রয়েছে। এছাড়াও ২০২৪ সালের মার্চ মাসে সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন রাখা হয়। সমিতির নাম পরিবর্তনের পর ২১ মার্চ তারিখে  বর্তমান সভাপতি ও মহাসচিবের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সকল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে এবং যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে চিঠিতে বলা হয়েছে- ২০২৩ সালের চাঁদা ২০০ টাকা আর মামলার চাঁদা ৫০০ টাকা করে সমিতির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা করে ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ করতে হবে।

জানা যায়, এই সংগঠন নিবন্ধিত না হওয়ায় কমিটি সহজে আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ করলেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। সরকারি আইন বিধি চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় খরচের নামে ব্যয় দেখানো হয়েছে বিশাল অংকের টাকা তাও অপ্রয়োজনীয় বলে দাবী করেছেন অনেকে।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুগ্ম-মহাসচিব এই প্রতিদেককে সংগঠের অডিট আপত্তি নিয়ে বলেন, অডিট প্রক্রিয়া চলমান আছে। তাই এই বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।

কমিটির বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগের বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব সহযোগী অধ্যাপক শওকত হোসেন মোল্লা বাংলাদেশ পোষ্টকে বলেন, সংগঠনের তহবিল থেকে টাকা আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। আভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টে কিছু সুপারিশ এসেছে। সেটা আমরা দেখছি।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কোষাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক কামাল আহমেদ বলেন আমাকে দায়িত্ব পালন করতেই দেয়া হচ্ছে না। আমাকে সংগঠনের ব্যাংকে একাউন্টের চেক বই পর্যন্ত দেয়া হয়নি। দেড় বছর পরে অনেক বলার পরে ব্যাংকের হিসাবে আমার ফোন নাম্বার যোগ করা হয়েছে।

সভাপতি শাহেদুল খবির চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করেও তাঁর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।


প্রশ্ন উঠছে - শিক্ষক নেতারা নিজেদের অর্থ ব্যবহারেই এইভাবে নয়ছয় করলে শিক্ষার্থীদের কী শিক্ষা দিচ্ছেন? পরবর্তী প্রজন্ম তাদের থেকে কী শিখবে?