ন্যাভিগেশন মেনু

হাবিবুল্লাহ মিজান

হাবিবুল্লাহ মিজান
Apr 27, 2024

জাতীয়

শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল নয়ছয়

শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল নয়ছয়

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির অর্থ আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে গুরতর অসংগতি, তহবিল নয়ছয় ও অর্থ আত্মাসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে। গত ৮ বছরে অন্তত সাড়ে চার কোটি টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ তুলে লিখিত পত্র দেওয়া হয়েছে খোদ দুর্নীতি দমন কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির বর্তমান সভাপতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী, মহাসচিব নব পদোন্নতি প্রাপ্ত ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক শওকত হোসেন মোল্যা এবং কোষাধক্ষ্য নব পদোন্নতি প্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক কামাল আহমেদ তহবিল ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বে ছিলেন।বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের সমিতির একজন সাধারণ সদস্য এই বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে মাউশি বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন গত ০৫ জুন ২০২৩ সালে। জানা যায়, শৃঙ্খলা শাখা থেকে নথি উপস্থাপন হলেও যুগ্মসচিব পর্যায়ে নথি আটকে যায়। পরবর্তীতে নতুন করে অডিট রিপোর্টসহ আবারো অভিযোগ জমা পড়ে ৩১ শে মার্চ।অভিযোগ পত্রের একটি কপি বাংলাদেশ পোষ্টের এই প্রতিবেদকের হাতেও এসেছে।বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদের অডিট করার জন্য প্রফেসর এস এম মাহাবুল ইসলামকে আহবায়ক এবং সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নাহার এবং সহযোগী অধ্যাপক উম্মে ফারহানা চৌধুরিকে সদস্য করে একটি আভ্যান্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত অডিট কমিটির স্বাক্ষরিত অডিট রিপোর্ট সকল সদস্যর হাতে হাতে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। অডিট রিপোর্টের অর্থ নয়ছয়ের হাল দেখে শিক্ষা ক্যাডারের অর্থ ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে যে, ২০২২ সালর জুন থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বর্তমান কমিটির সভাপতি শাহেদ-মহাসচিব শওকত এর সময়ে দায়িত্ব গ্রহণের সময় এই পেশাজীবী সংগঠনের ব্যাংক হিসাবে ২৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৪৪৩ টাকা প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত ছিল।এই মেয়াদে ৮১ লক্ষ ৫০ হাজার ২৭৫ টাকা চাঁদা আদায় হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে যা অঢিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে এবং দুদকে জমা দেয়া অভিযোগ পত্রেও বিষয়গুলো রয়েছে।তাদের নিজেদের মতে, এই সময়ে মোট তহবিল ১ কোটি ১১ লক্ষ ২০ হাজার ৭১৮ টাকা। এই...


Mar 25, 2024

জাতীয়

দুর্নীতি দমনে নিষ্ক্রিয় দুদককেই উকিল নোটিস!

দুর্নীতি দমনে নিষ্ক্রিয় দুদককেই উকিল নোটিস!

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন নিবেদন করে ব্যর্থ হওয়ার পরে  কিছু সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন থেকে দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে কার্যকর উদ্যোগ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে।অ্যাডভোকেট ড. এম. আনিসুর রহমান গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানকে আইনি নোটিশ দেন। বাংলাদেশ পোস্ট-এর সাথে আলাপকালে তিনি  শনিবার(২৩ মার্চ) এটি নিশ্চিত করেন।নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এবং একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালককেও একই বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।অ্যাডভোকেট আনিসুর তার মক্কেল বিআইডব্লিউটিসি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং বি-১৭০০)কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জাকির হোসেন-এর পক্ষে নোটিশটি প্রদান করেন ।আইনি নোটিশে অভিযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক ( ব্যানিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান এবং তাঁর অনুসারী আরো কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলে প্রায় ১৫ বছর ধরে বিআইডব্লিউটিসির নিয়ম-কানুন না মেনে তাদের পছন্দের কোম্পানি ও ব্যক্তিদের কাছে বিআইডব্লিউটিসির বিভিন্ন সম্পদ মেরামত ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছেন।এছাড়াও বিআইডব্লিউটিসির বিভিন্ন  ভবন ও স্থান ভাড়া দিয়ে তাদের পছন্দের কোম্পানি ও ব্যক্তিদের বিভিন্ন জাল বিল পাস করে অর্থ আত্মসাৎ করছেন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিআইডব্লিউটিসিতে নিয়মবহির্ভূত ভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীও নিয়োগ করার অভিযোগ রয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, অভিযুক্ত এস এম আশিকুজ্জামান সহকারী মহাব্যবস্থাপক হিসাবে ফিডার পদে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকার শর্ত পূরণ না করেই ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল উপ-মহাব্যবস্থাপক (অস্থায়ী) পদে পদোন্নতি পান। এছাড়া বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম হিসাবে প্রয়োজনীয়  তিন বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ না করেই তাকে আবার অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক/যাত্রী ও ফেরি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে উকিল নোটিশে।আরো জানা যায়, পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৬ ই জুন তিনি আবারো প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ না করেই বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্যিক) পদে পদোন্নতি পান।আইনি নোটিশে আরও বলা হয়েছে,  এস এম আশিকুজ্জামানের উপরোক্ত সমস্ত পদোন্নতি দেশের বিদ্যমান আইন ও বিআইডব্লিউটিসির বিধিমালা বিরোধী।এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ শে ফেব্রুয়ারি বিআইডব্লিউটিসির শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর লিখিত অভিযোগ করেন জানান যে, বিআইডব্লিউটিসির কিছু উচ্চপদস্থ...


Mar 10, 2024

জাতীয়

জালিয়াতির মাধ্যমে কলেজ শিক্ষকের পদোন্নতি!

জালিয়াতির মাধ্যমে কলেজ শিক্ষকের পদোন্নতি!

সরকারি কলেজের শিক্ষককে নিয়ম না মেনে পদোন্নতি দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে ক্ষোভ ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ওই শিক্ষকের বার্ষিক-গোপনীয়-অনুবেদন (এসিআর) পরীক্ষা না করেই পদোন্নতি দেয়া হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত এই কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।  যিনি ২৪তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন। এর আগে তিনি নোয়াখালী সরকারী মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেছেন।গত ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে হুমায়ুন কবিরকে সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। সহযোগী অধ্যাপক পদ শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ। তিনি এখন নোয়াখালী সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।গত শনিবার বাংলাদেশ পোস্ট-এর সাথে কথা বলার সময় নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আকতারী বেগম অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর সাবেক সহকর্মী তাঁর কাছ থেকে  ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের এসিআর নেননি। কিন্তু তাঁর পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।সব অভিযোগ অস্বীকার করে হুমায়ুন কবির বলেন, ‌‌''এসব আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এসিআর জমা দেওয়া আমার দায়িত্ব নয়, এটা উপাধ্যক্ষ ও প্রিন্সিপালের দায়িত্ব। আমি আমার এসিআর ফর্ম তৎকালীন উপাধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তিনি এসিআর অধ্যক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন কিনা আমি জানি না।''সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনো কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য তার এসিআর  চেক করা আবশ্যক।মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রফেসর আকতারী বেগম ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০২১ সালের ৬ জুলাই পর্যন্ত ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হুমায়ুন কবিরও ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর একই কলেজের ইংরেজি বিভাগে সহকারী প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০২০ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত কলেজে কর্মরত ছিলেন। এসময় তিনি অধ্যাপক আকতারী বেগমের অধীনে প্রায় পাঁচ বছর কর্মরত ছিলেন।কিন্তু তিনি  ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের এসিআরের অধ্যাপক আকতারী বেগমের প্রতিস্বাক্ষর নেননি বলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের একটি কপি বাংলাদেশ পোস্টের এই প্রতিবেদকের কাছেও এসেছে।নিয়ম অনুযায়ী হুয়ায়ুন কবির উপাধ্যক্ষের কাছে এসিআরফর্ম জমা দিবেন। এরপর উপাধ্যক্ষ হুয়ায়ুন কবিরের এসিআর লিখবেন এবং...


Feb 26, 2024

অপরাধ

মুসল্লি বেশে শব-ই-বরাতে ডাকাতি

মুসল্লি বেশে শব-ই-বরাতে ডাকাতি

শব-ই বরাতের পবিত্র রাতে কুমিল্লা জেলার নিমসাগর আড়ৎ এলাকায় লেবু বিক্রি করে আব্দুর রহমান বিশ্বাস নামে এক লেবু চাষী।  আরেক কৃষক মোকশেদ আলীকে সাথে নিয়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি।তারা ভাড়া করা  পিকআপ ভ্যানে (ঢাকা মেট্রো ন-১৯-১২৮৩) ফিরছিলেন। রবিবার রাত আনুমানিক সোয়া দুইটার দিকে তাদের গাড়িটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের জয়পুর-কেলিয়া এলাকায় এলাকায় পৌঁছালে মুসল্লীর ছদ্মবেশে কয়েকজন সশস্ত্র ডাকাত পিকআপ ভ্যানটিকে একটি বাস দিয়ে সামনে ব্যারিকেড দেয়। ডাকাতরা সবাই গায়ে পাঞ্জাবী এবং মাথায় টুপি পড়েছিল। দেখে মনে হচ্ছিল শবে-ই বরাতের পবিত্র রাতে নামাজ পড়ে গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিল তাঁরা।চাকু ও চাপাতি হাতে বাস থেকে নেমেই ডাকাতরা কৃষক আব্দুর রহমান ও মোকসেদ এবং পিকআপ ভ্যান চালক সোলাইমানের ব্যাগ ও পকেট তল্লাশি শুরু করে এবং নগদ টাকা ও তিনটি মোবাইল নিয়ে নেয়।ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার  বৈলতলা গ্রামের মো: খলিলের ছেলে ড্রাইভার সোলাইমান বলেন, “আমি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। যেহেতু পবিত্র শব-ই-বরাতের রাত ছিল, তাই আমরা সবাই খুবই নিরাপদ বোধ করছিলাম রাত বেশি হলেও। হঠাৎ একটি দ্রুতগামী বাস আমার গাড়ীর সামনে ব্যারিকেড দেয়। গায়ে পাঞ্জাবি ও মাথায় টুপি পরিহিত চার-পাঁচজন লোক বাস থেকে নেমেই আমাদের বলে, সাথে যা আছে দিয়ে দাও। না দিলে জবাই করে ফেলবো।”তিনি বলেন, “ভয় পেয়ে আমি আমার পকেটে থাকা প্রায় পাঁচ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ডাকাতদের হাতে তুলে দিই।"তবে লেবু চাষী আব্দুর রহমান বিশ্বাস ডাকাতদের কাছে তার কাছে নগদ টাকা বেশি নেই বলে জানান। সেটা শোনার সাথে সাথেই ক্ষুব্ধ ডাকাতরা তাকে নির্দয়ভাবে ছুরিকাঘাত করতে থাকে।ডাকাতরা আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আমি ও মোকসেদ মিলে গুরুতর আহত আব্দুর রহমানকে নিকটস্থ আলাদিনস হাসপাতালে নিয়ে আসি ড্রাইভার কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন। গুরুতর আহত আব্দুর রহমানের ছেলে শাহিন আলম রাকিব ঘটনা শুনে দ্রুত তার পিতাকে ধামরাইয়ের আলাদীনস হাসপাতাল থেকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।রাকিব বলেন, “পবিত্র শব-ই-বরাতের ছুটি থাকায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো অভিজ্ঞ সার্জন ছিল না। আমি পরে আমার বাবাকে সাভার...


Nov 26, 2023

জাতীয়

পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন  সাংবাদিক নাঈমুজ্জামান মুক্তা

পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন সাংবাদিক নাঈমুজ্জামান মুক্তা

নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা। আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পঞ্চগড়-১ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নাঈমুজ্জামান মুক্তার নাম ঘোষণা করেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পঞ্চগড়-১ আসনটি পঞ্চগড় সদর, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত।সক্রিয় রাজনীতির পাশাপাশি নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা দেশের শীর্ষ শিল্প গোষ্ঠী শিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ পোস্ট-এর জয়েন্ট এডিটর হিসাবে কর্মরত আছেন। সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুবই স্নেহভাজন হিসাবে পরিচিত। দেশের প্রথম বেসরকারী ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবেও নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা তাঁর মেধার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন। মুক্তার পিতার নাম আব্দুল খালেক ভুঁইয়া এবং মাতার নাম নুরজাহান ভুঁইয়া। তাঁর শ্বশুর কাজী মাহবুব একজন বীর মুক্তিযোদ্বা এবং শাশুড়ী ফরিদা আকতার হীরা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সাংসদ হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। নাঈমুজ্জামান মুক্তার স্ত্রী কাজী মৌসুমী বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একজন উর্ধতন কর্মকর্তা হিসেবে অবসর শেষে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন। এছাড়া তিনি রাওয়া ক্লাবের নির্বাহী কমিটি সদস্য ছিলেন।রাজনীতির পাশাপাশি পঞ্চগড় জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন কাজী মৌসুমী। পঞ্চগড় ১ আসনে জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি নাঈমুজ্জামান মুক্তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার পরপরই জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে বিশাল আনন্দ মিছিল বের করে তার সমর্থক ও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা। এসময় মিষ্টি বিতরণ করে তারা। একই আনন্দ উৎসব হয়েছে তেঁতুলিয়া এবং আটোয়ারী উপজেলাতেও।সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাঈমুজ্জামান মুক্তার নাম ঘোষণার খবর জানতে পারার সাথে সাথে জেলার তিন উপজেলায় এই আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এসব মিছিলে নাঈমুজ্জামান মুক্তার বিপুল সংখ্যক সমর্থক ও আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। মুক্তাকে স্বাগতম জানিয়ে নানা রকম স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে এসব মিছিল। সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাসনাত মোহাম্মদ হামিদুর রহমান জানান,পঞ্চগড় ১ আসনের মানুষের...


Sep 20, 2019

অপরাধ

‘এই পুলিশ সেই পুলিশ নয়’

‘এই পুলিশ সেই পুলিশ নয়’

মাত্র পাঁচ দিন আগেই ঢাকা মহানগর পুলিশের নতুন কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘোষণা করেছিলেন যে,তাঁর অধীনস্থ কোনো থানায় যদি মানুষ পর্যাপ্ত সেবা ও ভালো আচরণ না পায়,তাহলে তাদের সরিয়ে সিনিয়র অফিসারদের থানায় এনে বসানো হবে।ঘোষণা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি তিনি। লিখিত নির্দেশ জারি করেছেন থানা পুলিশের হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে উপ-পুলিশ কমিশনারদের থানায় নিয়মিত বসার।আর এই নির্দেশ পেয়ে দ্রুত বদলে যাছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। বৃহস্পতিবার এই রকম একটি ঘটনার প্রমাণ মিলেছে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায়। আগে মামলা করতে গেলে থানা পুলিশদের মোটা অংকের টাকা দিতে হতো বলে অভিযোগ আছে।কিন্তু এখন বাদীর অভিযোগ সঠিক হলে গভীর রাতেও অভিযোগকারীর বাসায় গিয়ে পুলিশ মামলার এজাহার নিয়ে আসছে এবং মামলা রেকর্ডও করছে সাথে সাথেই। আসামি পালানোর আশংকা থাকলে মামলা দায়ের করার আগেই গ্রেপ্তার করছে আসামিকে।রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার ক-২০৫/১ বাড়ির চারতলার ফ্লাটে আবদুল্লাহ আল তারিক তার নিজের শিশু সন্তান আরহানকে সাবেক স্ত্রী শাওন রোমাইলার কাছে থেকে নিয়ে আসেন। ১৭ সেপ্টেম্বর সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে সন্তানকে বেদমভাবে পিটিয়ে সারা শরীর রক্তাক্ত করে দেন।শিশুটিকে বাঁশের লাঠি এবং পাইপ দিয়ে অমানবিকভাবে পিটানো হয়। মারধর সহ্য করতে না পেরে শিশুটি বাসা থেকে পালিয়ে পাশেই তার ফুফু সুমাইয়ার বাসায় খালি পায়ে এবং খালি গায়ে চলে যায়।সেখান থেকে তার ফুফু উবারের গাড়ী ডেকে শিশুটিকে একাই মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়। ছেলেকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মা শাওন শরমিলা। ছেলেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি  করাতে গিয়ে সাবেক স্বামীর হুমকিতে পালিয়ে এসে ধানমন্ডির এক বান্ধবীর বাসায় আশ্রয় নেন।আরও পড়ুন: ঈশ্বরদীর ৬৪ জন গ্রামপুলিশ পেলো বাইসাইকেলছেলেকে তার বাবা অপহরণ করতে পারে এই ভয়ে আরহানকে আরেকজনের বাসায় রেখে আসেন। থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতেও ভয় পাচ্ছেন শাওন শরমিলা। কারণ খিলক্ষেত এলাকার খুব প্রভাবশালী তাঁর স্বামী তারিকের পরিবার। এই পরিস্থিতে এগিয়ে আসে আতিয়া বিলকিস মিতু নামে শরমিলার এক বান্ধবী।সে তাঁর পূর্ব পরিচিত বাংলাদেশ পোস্টের এক বিশেষ প্রতিবেদককে জানান। পরে ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে বাংলাদেশ পোস্ট প্রতিবেদক পোস্ট দিলে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন অফিসারদের নজরে আসে খুব দ্রুত তাদের মধ্যে ডিএমপির...