ন্যাভিগেশন মেনু

খুবির নবনিযুক্ত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. হোসনে আরা


খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা-কে ৪ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১২ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা হলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর।  দীর্ঘ ৮ বছর ৯ মাস পর এ পদটি পূরণ হলো।  নবনিযুক্ত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা আজ সকাল পৌনে ১২ টায় এ পদে যোগদানের মাধ্যমে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।  পরে বেলা সাড়ে ১২ টায় ভাইস-চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, ডিন, রেজিস্ট্রারসহ তাঁর দফতরে গমন করেন।

এ সময় ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।  নবনিযুক্ত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর তাঁর এই নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

পরে তাঁর যোগদানকে স্বাগত জানিয়ে এবং তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, ডিনবৃন্দের পক্ষে প্রফেসর ড. মু. রায়হান আলী, শিক্ষক সমিতির পক্ষে সহ-সভাপতি প্রফেসর মু. শরীফ হাসান লিমন, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান।  সূচনা বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ১৯৭০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ সদরে জন্মগ্রহণ করেন।  যশোর বোর্ড থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পাসের পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন।  সেখান থেকে রসায়নে বিএসসি (অনার্স), এমএসসি এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। খুলনা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে তিনি বিএড ডিগ্রি প্রাপ্ত হন।

তিনি ১৯৯৮ সালের ১৯ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনে রসায়নের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং পরে রসায়ন ডিসিপ্লিন চালু হলে তাঁর পদটি সেখানে স্থানান্তরিত হয়।  ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি প্রফেসর পদে যোগদান করেন।

তিনি রসায়ন ডিসিপ্লিন প্রধান এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান।  তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ সংস্থার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সদস্য।  এছাড়া তিনি ২০১৪ সাল থেকে যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সভাপতি।

এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, প্রভোস্ট এবং শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খুলনার গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ মিউজিয়ামের ট্রাস্টি ছাড়াও শিক্ষা সংস্কৃতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

ওআ/