ন্যাভিগেশন মেনু

নিউইয়র্কে ধর্ষণের প্রতিবাদে বাঙালি সমাজ


তোফাজ্জল লিটন, নিউইয়র্ক থেকে

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে নিউইয়র্কে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এই মানববন্ধন 

ও সভার আয়োজন করে নিউইয়র্কের ক্ষুব্ধ সচেতন প্রবাসীরা। 

সভার সমন্বয়কারী তোফাজ্জল লিটন এর সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন ‘ধর্ষণের বিচার না হওয়ায় বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। তাই ধর্ষণের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিবে হবে যেনো কেউ ধর্ষণ করার সাহস না পায়। প্রত্যেকে নিজের জায়গা থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ না করতে পারলেও যেনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে।'

নিউয়র্ক থেকে ২৯ বছর ধরে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পরিচয় পত্রিকার সংবাদিক নাজমুল আহসান তার বক্তব্যে বলেন, যারা দৃষ্টি দিয়ে, গালাগাল করে এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে নারীদের মানষিকভাবে ধর্ষণ করে তাদের বিরোদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সব দেশেই ধর্ষণ হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য অপরাধীদের উৎসাহিত করতে পারে।

নাগরিক আন্দোলনের অ্যাক্টিভিস্ট মুজাহিদ আনসারি বলেন, যারা ইনিয়ে বিনিয়ে ধর্ষকদের সমর্থনে কথা বলে, পোশাককে দায়ি করে ধর্ষকদের বাঁচাতে চায় তাদের বিরোদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ধর্ষণ ঘটনার সুষ্টু ও সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি আমরা।

সাংবাদিক ও গীতিকার দর্পণ কবীর বলেন, এই বৈরী আবহওয়ায় আমরা এখানে ২৫/৩০ জন উপস্থিত হলেও আমি মনে করি এখানে পুরো বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। সব বিষয়ে কেনো প্রধানমন্ত্রীকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে ? অন্যান্য মন্ত্রী এমপিরা কী করেন ? স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা এর বিরোধ্যে প্রতিরোধ ও সচেতনতা গড়ে তোলছে না কেনো? অপরাধীদের সামমাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। বিচার ব্যাবস্থার উন্নতি হবে। তবেই এসব অপরাধ কমবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

নিউইয়র্ক শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মণিকা রায় বলেন, দেশে প্রধানমন্ত্রী এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় নারী নেত্রীরা আছেন। অথচ সারাদেশে ক্রমাগত ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। আমি তাদের সর্বোাচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

লেখক ও ছড়াকার ইশতিয়াক রুপু বলেন,  নিজেদের ফেসবুকের মাধ্যমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি আমরা প্রতি মূহূর্তে। এই অপরাধূদের সামাজিক ভাবেও মোকাবেলা করবে হবে।

আবৃত্তি শিল্পী কান্তা কাবির বলেন, আমি শূধু একটাই কথা বলবো, ধর্ষনের শাস্তি হওয়া উচিৎ মৃত্যুদণ্ড।

লেখক আসলাম আহমাদ খান বলেন, দেশে কুকুর নিধনের চেয়ে ধর্ষক নিধন জরুরি।

বাংলাদেশ গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি, কুইন্স বাংলাদেশ সোসাইটির উপদেষ্টা তাজুল ইসলাম, লেখিকা শেলী জামান খান, নির্মাতা রহমান টিটো, সহযোগী নার্স সীমা সুস্মিতা, জুয়েল মালিক, জুলিয়েট রোজারিও, বিভাষ মল্লিক, শেখ শোয়েব সাজ্জাদ, ইলা সরকার ও বিউটি খানম প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে একাত্বতা ঘোষণা করেন।

প্রতিবাদ সমাবেশের পোস্টার এঁকেছেন শান্তিনিকেতনের ছাত্র রিফাত বিন সালাম।

এডিবি/